মর্যাদায় অতুলনীয় যে মসজিদ
যাকে সৃষ্টি করা না হলে এ ভুবন আলোকমণ্ডিত হতো না। যার আগমনে তামাম সৃষ্টি আনন্দে আত্মহারা। যিনি নিয়ে এলেন মানবতার মুক্তির সনদ। তার হাতে গড়া মসজিদের মর্যাদা কেমন হতে পারে? যার ঘোষণা রয়েছে পবিত্র কুরআনে ‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর, প্রথম দিন থেকে তার বেশি হকদার যে, তুমি সেখানে সালাত কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তওবা : আয়াত ১০৮) এ মসজিদের রয়েছে ব্যাপক মর্যাদা ও অসাধারণ শ্রেষ্ঠত্ব। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে আমার এ মসজিদে শুধুমাত্র কোনো কল্যাণ শেখার জন্য কিংবা শেখানোর জন্য আসবে, তার মর্যাদা হবে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। আর যে অন্য কোনো উদ্দেশে আসবে, সে ওই ব্যক্তির ন্যায়, যে অন্যের মাল-সামগ্রীর প্রতি তাকায়। (ইবনে মাজাহ) সুতরাং মদিনার জিয়ারাতের নিয়্যাত থাকবে যে, সেখান থেকে কল্যাণ গ্রহণ করা। যার সুসংবাদ রাসুল দিয়েছেন। আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করনে, ‘যে ব্যক্তি একমাত্র কল্যাণ শেখা বা শেখানোর উদ্দেশে মসজিদে (নববিতে) আসবে, তার জন্য পূর্ণ একটি হজের সওয়াব লেখা হবে।
বুখারি ও মুসলিমে সুস্পষ্টভাবে এসেছে, `তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও (ছাওয়াবের আশায়) সফর করাই জায়েজ নেই। ১. মসজিদুল হারাম, ২. আমার এ মসজিদ (মসজিদে নববি) ও মসজিদুল আকসা (বাইতুল মুকাদ্দাস)।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, ‘আমার ঘর (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘর) ও তার মিম্বরের মাঝখানের জায়গা টুকুকে জান্নাতের অন্যতম উদ্যান বলা হয়। অর্থাৎ ‘আমার ঘর ও আমার মিম্বরের মাঝখানের অংশটুকু রওজাতুন মিন রিয়াজিল জান্নাত। (বুখারি ও মুসলিম)
আর এ কারণেই এ মসজিদে ইবাদাত বন্দেগির এত ফজিলত। যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায়।
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, `আমার এ মসজিদে এক সালাত আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার সালাত আদায় করার চেয়েও উত্তম। (বুখারি ও মুসলিম)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এতে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়লে এক হাজার নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং এখানে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্য মসজিদে ছয় মাস বিশ দিন নামাজ পড়ার সমতুল্য।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/পিআর