নেককার বান্দার পরিচয়
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকারী ব্যক্তিকে সাধারণত আমরা নেককার বান্দা হিসেবে জানি। কিন্তু কোন ব্যক্তি নেককার বা বদকার, তা সরাসরি বলা যায় না বা জানা যায় না। তবে নেককার বান্দাদের রয়েছে কিছু বৈশিষ্ট। জাগো নিউজে তার কয়েকটা তুলে ধরা হলো-
হজরত শাকিক ইবনে ইবরাহিম জাহিদকে কোনো এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন যে, মানুষ আমাকে নেককার বলে। কিভাবে বুঝব যে, আমি নেককার না বদকার? তিনি উত্তরে তিনটি গুণের কথা বললেন-
ক. আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের কাছে নিজের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলী, ইবাদাত-বন্দেগির হালত তথা বিষয়াদির বর্ণনা করা। যদি তাঁরা তা পছন্দ করে, তবেই মনে করবে যে তুমি নেককার।
খ. নিজের অন্তরের সামনে দুনিয়াকে পেশ কর। যদি দুনিয়ার লোভ-লালসা তোমাকে আকৃষ্ট করতে না পারে, তবে বুঝবে তুমি নেককার।
গ. নিজের সামনে মৃত্যুকে উপস্থিত কর। যদি অন্তর নিজের মৃত্যুর ওপর সন্তুষ্ট থাকে আর তাড়াতাড়ি মাওলার দিদারে যাওয়ার আনন্দ অনুভব করে, তাহলে বুঝবে তুমি নেককার বান্দা।
যদি কোনো বান্দা উপরোল্লিখিত তিনটি গুণ লাভ করিতে পারে তবে, তাহার জন্য উচিত সে যেন আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে এবং স্বীয় অক্ষমতা প্রকাশ করে। যাতে তাঁর আমলে রিয়া বা অহংকার তথা লোক দেখানো ইবাদতের আঁচড় প্রবেশ করতে না পারে। কেননা রিয়া সব আমলকে ধ্বংস করে দেয়।
(অবলম্বেনে তাম্বীহুল গাফিলিন)
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা প্রতিটি বান্দাকে উপরোক্ত তিনটি কথার ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। কুরআন ও সুন্নাহর পাশাপাশি সৎ লোকদের সংস্পর্শে থেকে আখিরাতের প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/এমএস