মৃতব্যক্তির গোসল-দাফনে করোনা ছড়ায় না!
বৈশ্বিক মহামারি করোনায় পুরো বিশ্ব যতটা আতঙ্ক গ্রস্ত। এর বেশি আতঙ্কিত করোনায় মৃতদের গোসল-দাফন তথা সৎকার কাজ নিয়ে। সবারই ধারণা মৃত ব্যক্তি থেকে ছড়িয়ে পড়বে এ ভাইরাস।
এ আশঙ্কা থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতদের দাফন করা হচ্ছে। এ আশঙ্কা থেকে মুক্তির সংবাদ হলো, ধর্মীয় রীতি মেনে করোনায় মৃতদের দাফন তথা সৎকারে এ ভাইরাস ছড়াবে না।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ধর্মীয় রীতি মেনে গোসল জানাজা দিয়ে দাফন করলে এ ভাইরাস ছড়াবে না বলে ঘোষণা দিয়েছন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (০৬ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় এ সংবাদ দেশের জাতীয় গণমাধ্যম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তিকে নির্ভয়ে শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী দাফন-কাফন করুন। অন্যরাও নির্ভয়ে নিজ নিজ ধর্মের নিয়মানুযায়ী সৎকার করুন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু হলে নির্ভয়ে শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী দাফন-কাফন করুন। অন্যেরাও নির্ভয়ে নিজ নিজ ধর্মের নিয়মানুযায়ী সৎকার করুন। কারণ মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস বাঁচতে পারে না, তার বৃদ্ধিও হয় না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও জানান, এটা বিজ্ঞানসম্মত যে, মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে জীবাণু ছড়ায় না। , মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ালে শরীয়তপুরের যেসব পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দাফন-কাফন করেছেন তাদের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়াতো।
এর আগে মহামারি করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের কিট তৈরির কাঁচামাল চীন থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কাঁচামাল চীন থেকে এসেছে। ব্রিটেন থেকেই আসার কথা ছিলো। সেটাও দু’য়েকদিনের মধ্যে দেশে পৌঁছবে। এই কিট দিয়ে ১৫ মিনিটে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ফল জানা যাবে। উৎপাদনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী ১১ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিএসএমএমইউ, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর’বিসহ যতগুলো জায়গায় করোনা পরীক্ষা হয়, সব জায়গায় এ সব কিট দেয়া হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুরোদমে কিট উৎপাদন শুরু করবে গণস্বাস্থ্য।
এমএমএস/জেআইএম