এবার মক্কায় পরিবর্তন হলো আজানের শব্দ!
করোনা ভাইরাসের কারণে পাকিস্তান, কুয়েত ও আবর আমিরাত আজানের শব্দে পরিবর্তন এনেছিল। এবার সে তালিকায় নাম লেখালো পবিত্র নগরী মক্কা। হাদিসে এসেছে দুর্যোগের কারণে আজানে পরিবর্তন করা যেতে পারে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়াজ্জিনকে তা করতেও বলেছেন।
হাদিসে দুটি শব্দ এসেছে। তার একটি হলো ‘সাল্লু ফি বুয়ুতিকুম। আর অন্যটি হলো ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’। পবিত্র মক্কা নগরীর আজানে সাল্লু ফি রিহালিকুম শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে।
কুয়েত এবং আরব আমিরাতে আজানের শব্দ ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে তদস্থলে ‘আস-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলা হয়েছিল।
এবার পবিত্র নগরী মক্কায়ও আজানের শব্দ ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে তদস্থলে ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’ অর্থাৎ ‘তোমরা আবাস স্থলেই নামাজ আদায় করে নাও’ বলে আহ্বান করা হয়।
আজানের পরিবর্তিত শব্দ ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’ শব্দটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়-
হাদিসে আজানের শব্দ পরিবর্তন করে নামাজের জন্য আহ্বান করার কথাও রয়েছে। যদি কোনো অঞ্চলে আবহাওয়াজনিত প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, ঝড়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কুয়াশায় অথবা মহামারী দেখা দেয় তবে সেসব অঞ্চলের আজানের শব্দে পরিবর্তন করা যেতে পারে মর্মে অনেক হাদিসে বর্ণনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত নাফি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, প্রচণ্ড এক শীতের রাতে হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যাজনান নামক স্থানে আজান দিলেন। অতপর তিনি ঘোষণা করলেন- صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ
‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’ অর্থাৎ তোমরা আবাস স্থলেই নামাজ আদায় করে নাও।’
পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘লাইহি ওয়া সাল্লাম সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে সালাত আদায় কর।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)
সুতরাং মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে কুয়েত, আরব আমিরাত, পাকিস্তানের পর পবিত্র নগরী মক্কায় আজানের শব্দ পরিবর্তনে কোনো অসুবিধা নেই। হাদিসে আলোকে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় আজানের শব্দ পরিবর্তন করা যায়।
মহামারী করোনার কারণে কুয়েত, আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের আজানের শব্দ পরিবর্তন হাদিসেরই আমল।
তবে মহান আরশের মালিক আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ, তিনি যেন শীঘ্রই মুমিন মুসলমানকে মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন। সারা দুনিয়াকে করোনামুক্ত করে দেন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ