ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

শিশুর প্রথম শিক্ষালয়

প্রকাশিত: ০৮:০৮ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৫

কবি আবদুর রহমান আল কাশগরি তার কবিতার শিরোনাম দিয়েছেন ‘হিজনুল উম্মাহাতি হিয়া আল মাদরাসাতু লিল বানিনা ওয়াল বানাত’ অর্থাৎ ‘মায়ের কোল বালক-বালিকাদের জন্য পাঠশালা স্বরূপ।’ সেখানেই মানুষের সব ধরনের ভালো-মন্দ গুণাবলির অর্জিত হয়। একজন সন্তানকে সৎ চবিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে তার সূচনা করতে হবে মাতৃকোল থেকেই। সুতরাং শিশুর প্রথম শিক্ষা কেমন হওয়া চাই। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

শিশু যখন কথা বলতে শিখে তখণ তাকে সর্বপ্রথম ‘কালিমায়ে তাইয়্যিব’র শিক্ষা দিবে। তার বেড়ে ওঠার প্রতিটি পদক্ষেপে আচরণে উত্তম ও কোমল ব্যবহার  করতে হবে। সন্তানকে সচ্চরিত্রবান করে গড়ে তোলের জন্য মাতৃকোলের মতো এমন উত্তম স্থান আর নেই। তাই মাতৃকোলই শিশুর উত্তম বিদ্যালয়; যে বিদ্যালয় সন্তানের চরিত্র গঠনের কাজে নিয়োজিত।

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজ নিজ শিশুকে সর্বপ্রথম কথা শিখাবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (বায়হাকি, মুস্তাদরেকে হাকেম) যিনি শিশুকে শিখাবেন তিনি হলেন শিশুর মা।

তাইতো নেপোলিয়ান বলেছিলেন- ‘Give me a good mother I will give you a good nation.’ অর্থাৎ ‘আমাকে একটি ভালো মা দাও আমি তোমাকে একটি ভালো জাতি উপহার দেবো।’ তার চিন্তা-চেতনা ছিল, মানুষের নৈতিক গুণাবলি অর্জিত হয় শৈশবকাল থেকে আর শৈশবের শিক্ষা অর্জিত হয় মায়ের কোলেই। শিশুর চিরন্তন স্বভাব গঠনে মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। মায়ের কাছে শিশু উদারতা, প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা, সত্যবাদিতা শিক্ষা লাভ করে। মা-ই শিশুকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখাতে পারেন। শিশুর আত্মবিশ্বাস অর্জিত হয় মায়ের কাছ থেকেই। তাইতো প্লেটো বলেছেন, ‘মায়ের শিক্ষাই শিশুর ভবিষ্যৎ বুনিয়াদ।’

সুতরাং সন্তানের দুনিয়া ও আখিরাতকে সাফল্যমণ্ডিত করতে হলে মাকেই জীবনের প্রথম থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। পরকালীন জবাবদিহিতার ভয় ও বাস্তব জীবনোপযোগী সুশিক্ষা দেয়া মাতা-পিতারই দায়িত্ব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পিতা-মাতা সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়ার চেয়ে উত্তম আর কিছুই দিতে পারে না’।

পরিশেষে...
সন্তানকে সত্যিকার মানুষ করে গড়ে তুলতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। পিতা-মাতা সন্তানকে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা না দেয়, সেই সন্তান দুর্বৃত্তপরায়ন হয়ে ওঠে। আল্লাহ তাআলা বাণী, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।’ অর্থাৎ আল্লাহর এ আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সন্তানদের দ্বীন ইসলাম ও সব কল্যাণময় জ্ঞান এবং অনুপম আদর্শ শিক্ষার পাশাপাশি সুস্থ বিনোদনের প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলবো। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

এমএমএস/পিআর