আজান ও ইকামতের যে ফজিলত ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি
নামাজের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় হচ্ছে আজান ও ইকামত। আজানের মাধমে মানুষকে নামাজের দিকে আহ্বান করা হয়। আর কাতার সোজা করে জামাআত বন্দি হওয়ার জন্য ইকামত দেয়া হয়।
আজান মানে হলো কোনো জিনিস সম্পর্কে ঘোষণা দেয়া- আল্লাহ তাআলা বলেন-
- ‘আর আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষে আজান।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ৩)
- ‘আর আমি যথাযথভাবে তোমাদের আজান দিয়ে দিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ১০৯) অর্থাৎ জানিয়ে দিয়েছি ফলে জ্ঞানের দিক থেকে আমরা সকলে সমান।’
- ‘হে মুমিনগণ! যখন জুমআর দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও।’ (সুরা জুমআ : আয়াত ৯)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন নামাজের সময় হয় তখন তোমাদের একজন যেন আজান দেয় এবং তোমাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করে।’
আজান ও ইকামতের রয়েছে অনেক ফজিলত। তন্মধ্যে অন্যতম একটি ফজিলত হলো- আজানের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার পাপ মোচন করে দেন এবং জান্নাত দান করেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি- ‘তোমাদের রব বকরি চড়ানো সে রাখালকে দেখে আশ্চর্যবোধ করেন। যে পাহাড়ের পাদদেশে আজান দেয় ও নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আমার এ বান্দার দিকে দেখ, সে আজান দেয় ও ইকামত দেয় এবং আমাকে ভয় করে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ)
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বারো বছর যে ব্যক্তি আজান দেবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। প্রতি দিন তার আজানের মোকাবেলায় ৬০টি ও প্রত্যেক ইকামতের জন্য ৩০টি নেকি লেখা হয়।’ (ইবনে মাজাহ, মুসতাদরেকে হাকেম)
সুতরাং যারা আজান ও ইকামতের আওয়াজ শুনবে তারা মুয়াজ্জিনের সঙ্গে সঙ্গে আজান ও ইকামতের উত্তর দেবে। আর এতে উভয়ের জন্য থাকবে সমান সাওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আজান ও ইকামতের উল্লেখিত সাওয়াব লাভে হাদিসের শেখানো আমল যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ