ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

রোগ-ব্যাধিতে ঈমানদারের করণীয়

প্রকাশিত: ০৭:১৩ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বান্দাকে পরীক্ষা করার মাধ্যম হচ্ছে রোগ-ব্যাধি, বিপদ-আপদসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড। আল্লাহ তাআলা এগুলোর মাধ্যমে বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন। রোগ-ব্যধি অবস্থায় বান্দা কি করবে, জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

১) আল্লাহর ওপর ভরসা করা- এ বিশ্বাস রাখা যে, রোগ-ব্যাধিতে একমাত্র আরোগ্যদানকারী মহান আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন: وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ  অর্থাৎ যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই আমাকে সুস্থতা দান করেন।” (সূরা শুয়ারা : আয়াত ৮০) ওষুধকেই মুল আরগ্যদানকারী মনে করা শিরক।

২) সবর করা- রোগ-ব্যাধিতে আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা এবং সবর করা ঈমানের দাবি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَاصْبِرُوا إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ. অর্থাৎ আর তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা আনফাল : আয়াত ৪৬) তিনি আরও বলেন: إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ অর্থাৎ “ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোনো হিসাব ছাড়াই।” (সূরা যুমার: আয়াত ১০)।
সবরের ধরণ কি?
ক. নিজেকে মনোক্ষুন্ন, হতাশা ও বিরক্তি প্রকাশ করা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা।
খ. রোগ-ব্যাধিতে মানুষের কাছে অনুযোগ-অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকা।
গ. ধৈর্য হীনতার পরিচয় বহন করে, এমন সব কথা ও কাজ থেকে দূরে থাকা।

৩) চিকিৎসা করা গ্রহণ করা- কুরআন-হাদিসের দোয়ায় ঝাড়-ফুঁক করা, এলোপ্যাথিক, হেমিও, ইউনানি ইত্যাদি পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ করা ইত্যাদি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে প্রেসকিপশন প্রদান করেছেন।

৪) তাওবা করা- মানুষের উচিত আল্লাহর নিকট রোগ-ব্যাধিতে তওবা করা এবং সুস্থতার জন্য দোয়া করা। অসুস্থতার পূর্বে সুস্থতাকে মর্যাদা দেয়া রাসূলের সুন্নাত। ইবাদত-বন্দেগি, তাওবা-ইস্তেগফার, দোয়া-দরুদ পাঠের মাধ্যমে তাওবা করে আল্লাহ প্রিয়ভাজন হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করা।

৫) অসুস্থদের প্রতি আল্লাহর করুণা : অসুখ হলে আল্লাহ ঈমানদারের গুনাহ মাপ করে মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। মুমিনের বিশ্বাস হচ্ছে, সে যে অবস্থায়ই থাকুক, তার মধ্যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, মুমিনের বিষয়টা বড়ই আশ্চর্যের! তার সব অবস্থাতেই কল্যাণ থাকে। এটি শুধু মুমিনেরই বৈশিষ্ট্য যে, যখন সে আনন্দে থাকে, তখন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এবং যখন সে কষ্টে থাকে, তখন সবর করে। আর এ উভয় অবস্থাই তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।’ (মুসলিম)

পরিশেষে...
মহান আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সব রোগ-ব্যাধি আক্রান্ত মানুষকে সুস্থতা দান করেন এবং কষ্ট ও দুর্দশায় নিপতিত প্রতিটি মানুষের কষ্ট ও দূর্দশা লাঘব করে দেন। আল্লাহ-রাসূলের পথে ও মতে চলার তাওফিক দান করেন।  আমিন।

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

এমএমএস/পিআর