মুজাফফর নগরে মসজিদের ইমামের দাড়ি ধরে টানাটানি ও মারধর
গত এপ্রিল-মে মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে পুরো দেশজুড়ে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের মতো ভয়াবহ ঘটনা বেড়েই চলছে। এ নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি জয় লাভ করে। তারপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে চলছে মুসলিম নির্যাতন।
‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান না দেয়ার অপরাধে আবারো উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরের এক মসজিদের ইমামকে দাড়ি ধরে টানাটানি করে শারীরিক হেনস্থাসহ মারধর করেছে একদল উগ্রপন্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আক্রমণকারীরা মসজিদের ইমামের মাথার টুপি খুলে নিয়ে তা ছুড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় সেখানে। মুসলিমদের প্রবল দাবির মুখে পুলিশ অভিযুক্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যায়।
মসজিদের ইমাম ইমলাক উর রহমান মোটর বাইকে চড়ে ছাত্রদের পড়াশোনা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে উত্তরপ্রদেশের ভাগপত জেলার সারধানার মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আক্রমণ করে। সেখানে তারা ইমামের পথরোধ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে চাপ প্রয়োগ করে।
ইমাম ইমলাক উর রহমান তাদের প্রতিবাদ করলে যুবকরা দাড়ি ধরে টানাটানি শুরু করে এবং মাথা থেকে টুপি খুলে ছুড়ে ফেলে দেয়। এমনকি ইমামকে হুমকি দেয় যে, দাড়ি কামানো সাপেক্ষে সে তার নিজ গ্রামে যেতে পারবে।
এক পর্যায়ে ইমাম নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে হাজির হলে উগ্রপন্থী যুবকরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
উল্লেখ্য যে, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়তে দেখা গেছে এ উত্তর প্রদেশের মীরাটে। মুসলিমরা তাদের ইবাদতের স্থান মসজিদ ব্যবহারে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষরা সেখানে শিব ভাণ্ডার (বিশেষ ভোজ) আয়োজন করেছে। শুধু মসজিদে এ আয়োজনের অনুমতিই নয় বরং মুসলিমরা তাদের আপ্যায়ন ও খাবার বিতরণে সহযোগিতাও করেছে। আর এতে মুসলিমদের এ সম্প্রীতি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
এমএমএস/জেআইএম