‘হালাল নাইট ক্লাব’ প্রসঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষের বিবৃতি
সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ হিসেবে তাদের সংস্কৃতিতে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসছে। কিছু আগে তারা চালু করেছে সিনেমা হল। সেখানে নারীদের ঘর থেকে বের হওয়াসহ গাড়ি চালানোর অনুমতিও পেয়েছে তারা। নারীরা মাঠে গিয়ে খেলাধূলা ও হলে গিয়ে সিনেমা দেখছে তারা। এবার সংযোজন হচ্ছে ‘নাইট ক্লাব’! তাও আবার নাম দেয়া হয়েছে ‘হালাল নাইট ক্লাব’!
তবে হালাল নাইট ক্লাব সম্পর্কে সৌদি সরকারী কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো তথ্য নেই। সৌদি সরকারি সংস্থা (জিইএ) এর তথ্য মতে জেদ্দার ‘হালাল নাইট ক্লাব’ চালু ঘটনা বা প্রস্তুতি সম্পূর্ণ বেআইনী এবং অনুমোদহীন। দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় (জিইএ) বিষয়টি তদন্ত করবে।
الهيئة العامة للترفيه تفتح تحقيقاً فورياً في مقاطع فيديو تم تداولها لإحدى الفعاليات في مدينة جدة لم يتم ترخيصها من قبل الهيئة pic.twitter.com/MAIKTCM2EZ
— الهيئة العامة للترفيه (@GEA_SA) June 13, 2019
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেদ্দা শহরের ওই ইভেন্টের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক টুইটে এ খবর জানানো হয়েছে। আয়োজকরা আইন লঙ্ঘণ করেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় (জিইএ) অন্য একটি ইভেন্টের জন্য তাদের অনুমোদন দিয়েছিল কিন্তু তারা বাড়াবাড়ি করেছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
উল্লেখ্য যে, দুবাই ও বৈরুতের ‘হোয়াইট নাইট ক্লাব’ এটি চালু করছে। এ ক্লাবে বিলাসবহুল ক্যাফে এবং লাউঞ্জসহ যা থাকবে-
- ওয়াটারফ্রন্ট।
- বিশ্বের খ্যাতনামা মিউজিক গ্রুপের পরিবেশনা।
- ইলেক্ট্রনিক ডান্স মিউজিক, কমার্শিয়াল মিউজিক, আরএনবি এবং হিপহপ মিউজিক।
- লাউঞ্জের একটি অংশে থাকবে ড্যান্স ফ্লোর। যা নারী-পুরুষ সবার জন্য এটা উন্মুক্ত থাকবে।
এক কথায় দুবাই ও বৈরুতের ‘হোয়াইট ক্লাবের সব সুবিধাই থাকবে এ নাইট ক্লাবে।
ইসলাম ও কুরআনের ধারক-বাহক হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ মুসলমানদের জন্য বড় বিপর্যয়। তা ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য সর্বনাশ বয়ে আনবে।
এমএমএস/জেআইএম