৮০০ বছরের পুরনো মসজিদ মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত
তুরস্কের সানলিউফ মসজিদ। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে সংস্কারকাজ চলায় তাতে মুসল্লিদের নামাজ ও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল। অবশেষে দীর্ঘ সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার পর তা মুসল্লিদের ইবাদত ও দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তুরস্কের এ মসজিদটি হালিলুর রহমান মসজিদ নামেও পরিচিত।
কথিত আছে যে, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে জালেম শাসক নমরুদ যেখানে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন সে স্মৃতিস্তম্ভের পাশেই এ মসজিদ প্রতিষ্ঠিত।
১২১১ খ্রিষ্টাব্দে এ স্মৃতিস্তম্ভের পাশে তৈরি করা হয়েছে মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান এবং স্মৃতিস্তম্ভ।
১৮১০ সালে তুর্কির অটোমান সাম্রাজ্যের অধিপতিরা এ স্থানে মসজিদ আধুনিকায়ন করে গড়ে তোলে এবং তা মুসল্লিদের ইবাদত ও দর্শনার্থীদের জন্য দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হয়। যেন এ স্মৃতিস্তম্ভ দর্শনার্থীদের স্বাগত জানায়। মসজিদ এরিয়াটি লেকের আদলে অনন্য সৌন্দর্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
সময়ের পরিক্রমায় দীর্ঘদিনের পুরনো এ স্থাপনা ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মসজিদের অবকাঠামো জরাজীর্ণ হয়ে যায়। ফলে তা সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দেয়। পরে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদটি সংস্কারে হাত দেয়, যা তুরস্কের ওয়াকফ্ কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ ৪ বছরের পরিশ্রমে সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়।
সংস্কারের পর মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ৫০ বছর মসজিদটিতে কোনো ধরনের সংস্কার কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ কাজের প্রয়োজন হবে না।
নতুন করে মসজিদের ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মসজিদসহ স্থাপনাগুলোর ছাদকে স্থানান্তর করে সংস্কারকাজ করা হয়েছে। অবকাঠামো বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে এ মসজিদের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুনঃনির্মাণ কাজের প্রধান সমন্বয়ক জানান, মসজিদটির কাজ মজবুত ও উত্তমভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে। মসজিদটি পানির ফোয়ারা সংলগ্ন নির্মাণ ছিল বিধায় এটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা দক্ষ কর্মীবাহিনীর তত্ত্বাবধানে যত্নের সঙ্গে সংস্কার করা হয়েছে।
এমএমএস/এমএস