মাদরাসায় বাড়ছে অমুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা!
মাদরাসায় সাধারণত মুসলিমরাই লেখা-পড়া করে থাকে। এক্ষেত্রে ভারতের কিছু কিছু প্রদেশ ব্যতিক্রম। সেখানে মাদরাসায়ও স্থানীয় হিন্দুসহ অমুসলিমরাও পড়াশোনা করছে। সম্প্রতি ভারতের মাদরাসাগুলোতে হিন্দু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
গত বছরের তুলনায় এবার অমুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ শতাংশ বেড়ে গেছে। ইতিপূর্বে ভারতের মাদরাসাগুলোতে ছয় থেকে সাত শতাংশ শিক্ষার্থী অমুসলিম হলেও এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রকাশিত দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, ‘এ সব মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের পাসের হারও আগের তুলনায় বেড়েছে। আবার এসব মাদ্ররাসায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে গেছে।
দাখিলে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪৫ হাজার ৯৫০ জন। তার মধ্যে অমুসলিম ছাত্রছাত্রী ৬ হাজার ২৫৪ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৪ হাজার ৫৮২ জন।
দাখিলে পাসের হার দাখিলে ৮৩.০২ শতাংশ, আলিমে পাসের হার, ৮৪.৯৫ শতাংশ, ফাজিলে ৮৭.৪৯ শতাংশ। শুধু পশ্চিমবঙ্গে উর্দু মাধ্যমে পরিচালিত ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৬৯৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৮৭.৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।
মাদরাসায় অমুসলিম শিক্ষার্থীদের পড়া-শোনা সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিশেষ ধর্মের লোকদের জন্য মাদরাসা শিক্ষা’-এ ধারণা ক্রমে কমে আসছে। মানুষ মুক্ত মনে আধুনিক শিক্ষার নানা মাধ্যমে যোগদান করছে।
রাজ্য সরকারের শিক্ষামুখী বিভিন্ন প্রকল্প যেমন- কন্যাশ্রী, সবুজসাথীসহ নানা স্কলারশিপ এ ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের শুভেচ্ছা ও ভিনন্দন জানান।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি শেখ আবু তাহের কামরুদ্দিন বলেন, এই ফলাফলেই স্পষ্ট হচ্ছে কেবল মুসলিমরাই নন, অমুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরাও মাদরাসায় পড়াশোনা করতে এগিয়ে আসছে। আর এর ফলে পাস্পরিক সম্প্রীতি ও সুসম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।
এমএমএস/জেআইএম