ভেঙে পড়লো ৪২৮ বছরের পুরনো চারমিনার
চারমিনার। ভারতের তেলেঙ্গনার হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। হায়দ্রাবাদকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেয়া ঐতিহাসিক চারমিনারের একটির কিছু অংশ বুধবার হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এ মিনারটি ৪২৮ বছরের পুরনো ভারতের তালিকাভুক্ত সর্বস্বীকৃত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।
১৫৯১ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত ভারতের তেলঙ্গানার হায়দ্রাবাদের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ ও সমাধি সৌধ এটি। চারমিনার পুরাতন হায়দ্রাবাদ শহরের মুসি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। স্থাপনাটির উত্তরপূর্ব কোণে লাদ বাজার এবং পশ্চিম দিকে গ্রানাইটের তৈরি খুবই উচ্চ কারুকাজ সম্পন্ন মক্কা মসজিদ অবস্থিত।
মক্কা মসজিদ সংলগ্ন চারমিনারের চার ধারে যে সুউচ্চ চার মিনার বা স্তম্ভ রয়েছে, তার একটির ক্ষুদ্র অংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
১৫৯১ সালে নির্মিত প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৫৬ মিটার বা ১৮৪ ফুট। মিনারগুলো ২০ মিটার তথা ৬০ ফুট বর্গাকৃতির। এ মিনারের চূড়ায় ওঠার জন্য ১৪৯ ধাপ সম্পন্ন পেচানো সিড়ি।
প্রতিটি মিনারের ওপরে বেলকুনি ও মাথার দিকে মুকুটের মতো সুন্দর কারুকাজের সমন্বয় করা হয়েছে। এ স্থাপনাটি গ্রানাইট, চুনাপথর ও মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
মিনার সংলগ্ন মসজিদটি নির্মাণে কুতুব শাহ বংশের পঞ্চম শাসক মুহাম্মদ কূলি কুতুব শাহ পবিত্র মক্কা শরিফ থেকে ইট আনিয়ে এ মসজিদ নির্মাণ করেন। আর নাম রাখেন মক্কা মসজিদ।
হায়দ্রাবাদ শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল এ চারমিনারকে কেন্দ্র করে। তৎকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ কূলই কুতুব শাহ এ মিনার তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে চারমিনার বাজারে ১৪ হাজারেরও অধিক দোকান রয়েছে।
মিনার ও মসজিদ নির্মাণে তিনি পারস্য থেকে স্থপতি নিয়ে আসেন। মিনার ও মসজিদের ডিজাইনে ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্য শিল্পের প্রমাণ ফুটে ওঠে।
এমএমএস/জেআইএম