তাওয়াফে যা নিষিদ্ধ ও মাকরুহ
তাওয়াফ হজের তৃতীয় রুকন। যা যথাযথ আদায় না করলে হজ হবে না। ইতোপূর্বে হজের মধ্যে তাওয়াফের করণীয় বিষয়াদি নিয়ে বিভিন্ন বিষয় ওঠেে এসেছে। জাগো নিউজরে পাঠকের জন্য আবারো তুলে ধরা হলো তাওয়াফের নিষিদ্ধ ও মাকরুহ কাজ সমূহ। যা তাওয়াফকারীর জন্য জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
তাওয়াফে নিষিদ্ধ কাজসমূহ
১. গোসল ফরজ অবস্থায় বা হায়িজ ও নিফাসের অবস্থায়।
২. বিনা ওজরে কারো কাঁধে চড়ে বা সওয়ার হয়ে তাওয়াফ।
৩. বিনা ওজুতে তাওয়াফ করা।
৪. বিনা ওজরে হাঁটুতে ভর দিয়ে বা উল্টোভাবে তাওয়াফ করা।
৫. হাতিমকে বাদ দিয়ে তাওয়াফ করা। অর্থাৎ হাতিমের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়া।
৬. তাওয়াফের কোনো এক চক্কর বা তার একাংশ ত্যাগ করা।
৭. হাজরে আসওয়াদ ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
৮. তাওয়াফকালে বাইতুল্লাহর দিকে মুখ করা। অবশ্য শুরুতে হাজরে আসওয়াদকে সম্মুখে রেখে দাঁড়ানোর কথা স্বাতন্ত্র।
৯. তাওয়াফের কোনো ওয়াজিব তরক করা।
তাওয়াফের মাকরূহ বিষয়াদি
১. অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা ও ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আলাপ করা।
২. হামদ-না’তবিহীন কবিতা আবৃত্তি বা ছন্দ আবৃত্তি করা।
৩. এমন উচ্ছস্বরে দোয়া ও কুরআন তিলাওয়াত করা, যাতে নামাজ আদায়কারীর বা অন্য তাওয়াফকারীর বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
৪. নাপাক কাপড় পরিধান করে তাওয়াফ করা।
৫. রমল বা ইযতিবা বিনা ওজরে ছেড়ে দেয়া।
৬. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন না করা বা ইশারায় চুম্বন না করা।
৭. তাওয়াফের চক্করে অধিক বিরতি দেয়া।
৮. নামাজের মাকরূহ সময় ছাড়া অন্য সময় দুই তাওয়াফের মধ্যে নামা আদায় না করে দুই তাওয়াফের নামাজ একত্রে আদায় করা।
৯. তাওয়াফের নিয়্যাতকালে তাকবির না বলেই দুই হাত ওপরে ওঠানো।
১০. খুতবা বা ফরজ নামাজের জামাআতের সময় তাওয়াফ শুরু করা।
১১. তাওয়াফকালীন সময়ে কোনো কিছু আহার করা।
১২. পেশাব-পায়খানার বেগ হওয়া সত্বেও তাওয়াফ অব্যাহত রাখা।
১৩. ক্ষুধার্ত ও ক্রুদ্ধ অবস্থায় তাওয়াফ করা।
১৪. তাওয়াফকালে নামাজেরমতো হাত বেঁধে রাখা বা কাঁধে হাত তুলে রাখা।
আল্লাহ তাআলা সব হাজি ও ওমরাকারীদেরকে উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে হেফাজত করুন। সুন্দরভাবে তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। ওমরা ও হজের ধারাবাহিক আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস