বিশ্বনাথের মাহি আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম
শেখ জসিম বিন মোহাম্মদ বিন থানি হলি কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন হাফেজ সাঈদ ইসলাম মাহি। ১৩ বছরের মাহি গত ৩ ডিসেম্বর সোমবার চূড়ান্ত পর্বে ৪টি দেশের ২৬ জন প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশি মেয়ে প্রতিযোগি আয়েশা উমর ইউসুফও চতুর্থ স্থান লাভ করেন।
কিশোর মাহি পরিবারের সঙ্গে কাতারে অবস্থান করছেন। সেখানের একটি প্রাইভেট মাদরাসায় তার পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা। এ প্রথম কোনো প্রবাসী বাংলাদেশির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া।
হাফেজ সাঈদ ইসলাম মাহি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের প্রবাসী আব্দুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে।
২৫ বছর আগে কুরআনের দিকে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে শেখ জসিম বিন মোহাম্মাদ বিন থানি কাতারে এ প্রতিযোগিতা শুরু করেন। এবারের ২৫তম আসরে বিশ্বের ৪টি দেশের ৫ হাজার প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন।
৫ হাজার প্রতিযোগির মোকাবেলায় বাংলাদেশি মাহির এ অর্জন বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে মাহি পেয়েছে ১ লাখ কাতারি রিয়াল। কাতারের ইসলাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এইচএইচ ড. গণিত বিন মুবারক আল কুওভারি মাহির হাতে প্রথম পুরস্কার তুলে দেন।
এ প্রতযোগিতায় মিসরের উমর আব্দুল কাদের সালেম দ্বিতীয় হয়েছেন। আর তৃতীয় হয়েছেন সুদানের ওয়াদাহ খাদর আল-খাদর। তারা উভয়ে পুরস্কার হিসেবে পান যথাক্রমে ৮৫ ও ৭০ হাজার কাতারি রিয়াল।
চতুর্থ পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের আরেক মেয়ে প্রতিযোগি আয়েশা উমর ইউসুফ এবং পঞ্চম পুরস্কার জিতেছেন মিসরের আলী আহমদ মমিন। তারা উভয়ে পুরস্কার হিসেবে পান যথাক্রমে ৬০ ও ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল।
শিশু কিশোর ও তরুণদেরকে পবিত্র কুরআনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে কুরআনের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগের লক্ষকে সামনে নিয়ে এ প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়েছিল। যার ধারা এখনো বিদ্যমান।
হাজেফ সাঈদ ইসলাম মাহি ও আয়েশা উমর ইউসুফের জন্য রইলো শুভ কামনা। আল্লাহ তাআলা সব প্রতিযোগি ও অংশগ্রহণকারীকে কুরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম