ইবাদতে অপারগ ব্যক্তিও পাবেন ইবাদতকারীর সমান প্রতিদান
আল্লাহ মহান। আল্লাহর বড়ত্ব কোনো বিশেষণ দিয়ে লিখে শেষ করা যাবে না। বান্দার জন্য আল্লাহর দয়া সদা-সর্বদা নাজিল হতে থাকে। যে বান্দা জীবনের শুরু থেকেই আল্লাহর হুকুম পালনে একনিষ্ঠ, সদা প্রস্তুত থাকে, সে বান্দার জন্য কোনো চিন্তা ও ভয় নেই। ইবাদত বন্দেগিতে অপারগ হয়েও বান্দাহ পাবেন প্রতিদান আর প্রতিদান। কিভাবে পাবেন এ প্রতিদান তা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
আল্লাহ অসীম ক্ষমতার অধিকারী। সৃষ্টির প্রতি তাকালে তার অগণিত প্রমাণ পাওয়া যায়। যা গুণে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ তার বান্দাকে পৃথিবীতে পাঠানোর পূর্বেই স্বীকৃতি নিয়ে ছিলেন। আল্লাহ যে মানুষের প্রভূ সে স্বীকৃতি। সুতরাং পৃথিবীতে এসে যে মানুষ আল্লাহ স্বীকৃতি অনুযায়ী কাজ করেছে। সেই সফলকাম। হাদিসে কুদসিতে তাদের ব্যাপারে এসেছে।
হযরত উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতি দিনের আমল মোহর এঁটে দেয়। যখন ঈমানদার অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন ফিরিশতারা বলেন, `হে আমাদের প্রভূ! আপনার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তখন মহান প্রভূ বলেন, সে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অথবা তার মৃতু্যবরণ করা পর্যন্ত তার আমলনামায় অনুরূপ আমলের ছাওয়াব লিখতে থাকো, যেরূপ আমল সে সুস্থ থাকা অবস্থায় করত। (মুসনাদে আহমদ)
সুতরাং সুস্থ্য অবস্থায় আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে প্রতিটি মুহূর্ত কাটিয়ে দিতে হবে। তবেই সম্ভব অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহর অবিরত রহমত ও বরকতের ভাগীদার হওয়া। এ ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনুল কারিমেও স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনুল কারিমে বলেন, `অতপর আমি তাকে হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে পরিণত করি। কিন্তু তাদেরকে নয়, যারা মুমিন ও সৎকর্মপরায়ণ; তাদের জন্য রয়েছ নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। (সূরা আত-ত্বীন : আয়াত ৫ ও ৬)
সুতরাং আল্লাহ তাআলার ওই সব মানুষকেই লাঞ্ছিত করবেন, অপমাণিত করবেন, যারা সামর্থ্য থাকা সত্বেও আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে নেয়নি। তার (আল্লাহ) নাজিল করা কুরআন ও তার হাবিবের দেখানো পথে চলাফেরা করেনি। পক্ষান্তরে যারা আল্লাহ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথে ও মতে জীবন পরিচালনা করেছে তারা হবে নাজাতপ্রাপ্ত ও সফলকাম।
আল্লাহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর যৌবনের সময়কে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর প্রিয় বান্দাহ হিসেবে তৈরি হওয়ার তাওফিক দান করুন। যাতে করে অসুস্থ অবস্থায়ও আল্লাহর রহমত, বরকত লাভ করতে পারে। তার কর্মফলের ভিত্তিতে সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণ লাভ করতে সক্ষম হয়। আল্লাহ আমাদেরকে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথে ও মতে থেকে তার সন্তুষ্টি অর্জন সক্ষম হতে পারি। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন।
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/আরএস/পিআর