ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

যার জন্য জান্নাত হারাম!

প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৫

জান্নাতের কামনাই মানুষকে অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত রাখে না বরং আল্লাহর ভয় মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে। যা আল্লাহর একান্ত মেহেরবানী। মানুষকে শুধু অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত থাকাই নয়, অন্যায় কাজ সংঘটিত হওয়ার সবধরনের পথ বন্ধে সচেষ্ট থাকতে হবে। সমাজে সংঘটিত অপরাধের মধ্যে অন্যতম বেহায়াপনা। উদ্ভট চলাফেরা তথা বেপর্দায় গাইরে মুহরিমের সঙ্গে চলা ফেরা করা। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য অশ্লীলতার ভয়াবহ পরিণতি তুলে ধরা হলো :

যে ব্যক্তি পরিবারের বেহায়াপনা ও অশ্লীলতায় নিমজ্জিত থাকে ইসলামের পরিভাষায় তাকে দাইয়ুস বলা হয়। এদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, এমনকি তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে কিন্তু তার অধীনস্থ মেয়ে, বোন বা স্ত্রী কি করছে, কোথায় চলছে, কি পোশাক পড়ছে, কাদের সাথে মিশছে সে বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নেই। এমন ব্যক্তির পরিণাম সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলােইহি ওয়া সাল্লাম কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন।

ঐ ব্যক্তিকে দাইয়ুছ বলে- যে তার স্ত্রীকে ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে অশ্লীল কাজ ও ব্যভিচারের সুযোগ দেয় বা সুযোগ করে দেয় এবং সকল শরীয়াহ বিরোধী কাজকে মেনে নেয়। তাই দাইয়ুস জাহান্নামী এবং কবিরা গুনাহকারী। আপন স্ত্রীকে অশ্লীলতা ও ব্যভিচারের সুযোগ দেয়া কবিরা গুনাহ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন :

১) যে মদ তৈরি করে
২) যে ব্যক্তি মাতা-পিতার নাফরমানী তথা অবাধ্য আচরণ করে এবং
৩) ঐ চরিত্রহীন ব্যক্তি (দাইয়ুস) যে নিজ স্ত্রীকে অশ্লীলতা ও ব্যভিচার করতে সুযোগ দেয়। (মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং দাইয়ুছ ঐ ব্যক্তিকে বলে যে তার স্ত্রী পরিবারের অন্য সদস্যরা অশ্লীল কাজ বা ব্যভিচার করলে সে ভাল মনে করে গ্রহণ করে অথবা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে। উপরের হাদিসটির ব্যাখ্যা ব্যাপক। এখানে মূল অর্থ হলো অশ্লীলতা। যে তার নিজ ঘরে ইসলামি অনুশাসনে শিথিলতা করে, মেয়েদের পর্দা করতে উৎসাহ দেয় না, আদেশ করে না এই রকম সব শরীয়াহ বিরোধী কাজকে মেনে নেয়-সেই হল দাইয়ুছ।

মানুষকে নামাজ-রোজার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যথাযথ পালনের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর অন্যান্য হুকম-আহকামগুলো পালনে এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহর বান্দারা যদি আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলে, বেহায়াপনা-অশ্লীলতা-বেপর্দা পরিহার করে। তবে সমাজে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে। অন্যায়-অনাচার কমে যাবে। সুন্দর পৃথিবী প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আল্লাহ সব মুসলিম উম্মাহকে সব অন্যায়-অনচার থেকে ফিরে থাকার তওফিক দান করুন। জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে আখিরাতের অসীম জিন্দেগিতে জান্নাত লাভে ধন্য হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগো নিউজ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

এমএমএস/এআরএস/পিআর