‘অলস সময়’ কাটছে ওমরাহ সহকারীদের
কিছুদিন আগেও দম ফেলার ফুসরত ছিল না। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অসুস্থ হাজিদের হুইলচয়ারে বসিয়ে হেটে বা দৌড়ে তাওয়াফ ও সাফ-মারওয়া সম্পন্ন করিয়ে দিতেন।
কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করলে ১২০ রিয়েল (প্রায় ২৮০০ টাকা) করে পেতেন। তবে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া উভয় প্যাকেজের জন্য চার্জ নিতেন ২০০ রিয়েল (প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা)।
হজের আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোখো অসুস্থ হজযাত্রীরা রীতিমতো সিরিয়াল দিয়ে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া করতেন। কিন্তু হজের পরে বিভিন্ন দেশর হাজিরা দেশে ফিরতে শুরু করায় ওমরাহ সহকারীদের ব্যস্ততা কমে গেছে।
বুধবার ফজরের নামাজের পর সরেজমিন মক্কা ক্লকের নিচে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে সহায়করা বেঞ্চিতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। পাশে হুঈল চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। দোভাষীর সহায়তায় জানা গেছে, হারাম শরিফ চত্বরে প্রায় তিন হাজার সহায়ক রয়েছেন। তারা সবাই কাবা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত।
তারা জানান, এ বছর হজের সময়ে তাদের ভাল আয়-রোজগার হয়েছে। হাজিরা চলে যাওয়ায় বর্তমানে আয়-রোজগার অনেক কমে গেছে। তবে ওমরাহ শুরু হলে আবারও হাজি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
আগের তুলনায় বর্তমানে কাবা শরীফে ভিড় কম হওয়ায় হাজির স্বজনরা নিজেরাই তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া করাচ্ছেন।
এমইউ/এমবিআর/এমএস