যে নামাজ পড়ে না তার হুকুম কি?
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক স্থানে নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। এ নামাজ মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য ফরজ ইবাদত। কিন্তু যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না তার হুকুম কি? যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না তাকে নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে মুসলমান হিসেবে আপনি কি করবেন?
এমনই একটি প্রশ্নের সুন্দর জবাব দিয়েছেন হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালি রহমাতুল্লাহি-
যুবকের জিজ্ঞাসা
হুজ্জাতুল ইসলাম হজরত ইমাম গাজ্জালি রহমাতুল্লাহি আলাইহি-কে এক যুবক জিজ্ঞাসা করল- হে শায়খ! নামাজ তরককারীর হুকুম কি? অথ্যাৎ যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না তার প্রতি আমাদের করণীয় কি?
তিনি উত্তর দিলেন-
নামাজ তরককারী ব্যক্তির প্রতি হুকুম হলো- তুমি তাকে তোমার সঙ্গে করে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে নিয়ে যাবে।’ কাজির (শাসকের) ভূমিকায় নয় বরং আল্লাহর পথে আহ্বানকারী হিসেবে।
যারা নামাজ পড়ে না; ইসলামের প্রতি আহ্বানকারীরা যদি চেষ্টা করে তবে তাকে নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এবং সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠা করতে এর বিকল্প নেই।’
হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ তরককারীর ব্যাপারে কঠোর সতর্কবার্তা প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিল সে কুফরি করল।’
অন্য হাদিসে এসেছে- ‘ইসলাম ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য নিরূপনকারী হচ্ছে নামাজ।’
সুতরাং কোনোভাবেই নামাজ তরক করা উচিত নয়। কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেককে ইসলামের পথের দায়ি তথা আহ্বানকারী হিসেবে কবুল করুন। প্রত্যেককে যথাযথভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএ