তাঁবুতে তাঁবুতে আজান
‘উঠেন, ঘুম থেকে উঠেন, জরুরি কাজ সেরে নিন। দেরি করলে পেছনে পড়বেন।’ বেডের পাশে শুয়ে থাকা একজন ডেকে তুলে এসব কথা বলছিলেন। গভীর রাতে ঘুমানোর ফলে মাথা ভার হয়ে থাকায় কিছুটা বিরক্তি ও অস্বস্তি নিয়ে তাঁবুর বাইরে বেরিয়ে তো ‘চক্ষু চড়কগাছ’। হলুদ রঙয়ের দাগ ধরে সামনে এগুতেই টয়লেট ও ওজুখানা। সেখানে মধ্যরাতেই অসংখ্য মুসল্লির দীর্ঘ লাইন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ও ফজরের নামাজের জন্য ওজু করতে এ দীর্ঘ লাইন।
হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে রয়েছে- মিনা ময়দানে অবস্থান করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। মিনার ময়দানের বিশাল এলাকা জুড়ে পৃথক তাঁবু তৈরি করে হজ করতে আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছে সৌদি সরকার। তাঁবুর বাইরে ছোট ছোট ড্রামভর্তি খাবার পানি। লম্বা লাইন দেখে মুসল্লিদের একজন খাবার পানি দিয়েই ওজু শুরু করেন। পাশ থেকে কেউ কেউ চেঁচিয়ে ওঠে বলেন- করেন কী, করেন কী? পরে খাবার পানি খেতে পাবেন না।
ফজরের ওয়াক্ত হতেই প্রত্যেক তাঁবুতে পৃথক পৃথক আজান পড়ে। জামাতে একজন ইমামতি করেন আর কয়েকজন পেছনে আওয়াজ পৌঁছে দিতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করেন। ফজরের জামাত শেষে মুসল্লিরা সঙ্গে করে নিয়ে আসা চিড়া, গুড় ও মুড়ি খেয়ে নাস্তার কাজ সারেন।
এমইউ/এমবিআর/এমএস