মেঘ-বৃষ্টির ক্ষতি থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়বেন
একটু বেশি বৃষ্টি হলেই মানুষ অতিষ্ট হয়ে যায়। অনেকেই আপত্তিকর মন্তব্য করতে শুরু করে। অথচ বৃষ্টি মানুষের জন্য অনেক উপকারি। বৃষ্টি বর্ষণ সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
‘আমার বান্দারা যদি আমার বিধান যথাযথ মেনে চলতো, তবে আমি তাদেরকে রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম আর সকাল বেলায় সূর্য (আলো) দিতাম এবং কখনও তাদেরকে বজ্রপাতের আওয়াজ শুনাতাম না।’ (মুসনাদে আহমদ)
তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘ-বৃষ্টির ক্ষতি ও ভয়াবহতা থেকে হেফাজত থাকতে তাসবিহ তাহলিল ও দোয়া পড়তেন। যাতে মেঘ-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টির ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে এ দোয়া পড়তেন-
اَللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَ لَا عَلَيْنَا- اَللَّهُمَّ عَلَي الْأَكَامِ وَ الْجِبَالِ والْاُجَامِ وَالظِّرَابِ وَالْأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওয়াইলানা ওয়া লা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল ঝিবালি ওয়াল উঝামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের আশে-পাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর। আমাদের ওপরে করিও না। হে আল্লাহ! টিলা, পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি, উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বৃষ্টি বর্ষণ কর।’ (বুখারি)
আরও পড়ুন > পৃথিবীতে কেন বৃষ্টি হয়
বৃষ্টি অবশ্যই মহান আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। যদি কখনো অতিবৃষ্টি হয়; তবে বুঝতে হবে যে, এটা মানুষের অবাধ্যতার ফল। আর এ অবস্থায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো তাসবিহ ও দোয়ার মাধ্যমে আত্মরক্ষা করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মেঘ-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ভয়াবহ ক্ষতি থেকে হেফাজত করুন। আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে ফিরে থাকার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সঠিক জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস