অল্প আমলেই জান্নাতের আবাস!
মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃস্টি। মানুষকে কেন্দ্র করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সমগ্র জাহান সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টিতে এমন কোনো জিনিস পাওয়া যাবে না যা মানুষের কল্যাণে আসে না। দুনিয়ার সব হিংস্র প্রাণীর মধ্যেও আল্লাহ মানুষের জন্য রেখেছেন বহু কল্যাণ ও উপকারিতা। এ সবের পিছনে একটিই উদ্দেশ্য, তা হচ্ছে- বান্দা তার সিজদা করবে। তাঁকে রব হিসেবে মেনে নিয়ে জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একমাত্র তারই গোলামী করবে। যারা এ সব নিয়ামত ভোগ করে তার নাফরমানি করবে তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি আর শাস্তি। পক্ষান্তরে যারা তার উপাসনায় জীবন কাটিয়ে দিবে তাদের জন্য রয়েছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার জান্নাত। আজ জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য ছোট্ট একটি জান্নাত লাভের হাদিস তুলে ধরা হলো-
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- “যে ব্যক্তি রাতে ও দিনে বার রাকাআ’ত সুন্নাত নামাজ আদায় করে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন। হজরত উম্মে হাবিবা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন যে, এ হাদিস শোনার পর থেকে কখনো আমি এ নামাজগুলো পরিত্যাগ করিনি। (মুসলিম)
এ নামাজগুলোর বিবরণ-
১. ফজরের ফরজের পূর্বে দুই রাকাআত সুন্নাত
২. জোহরের ফরজের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত সুন্নাত
৩. মাগরিবের ফরজের পরে দুই রাকাআত সুন্নাত ও
৪. এশার ফরজের পরে দুই রাকাআত সুন্নত।
সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস- অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে। উপরোল্লিখিত নিয়মে ফরজ নামাজের আগে এবং পরে এই সুন্নাত নামাজগুলো আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সহজ। আমরা এই নামাজ গুলো আদায় করে জান্নাতে আবাসের অধিকারী হওয়ার তাওফিক কামনা করি। আল্লাহ আমাদের উত্তম আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/এমএস