জাহান্নামের ভয়াবহতা থেকে রক্ষার উপায় : আল্লাহকে রব বলে স্বীকার!
পৃথিবী সৃষ্টি আদিকাল থেকে আজ অবদি যত নবী-রাসূল ও ইসলামের অনুসারিদের আগমন ঘটেছে তাদের সবার দাওয়াতি মিশনই ছিল আল্লাহর পরিচয় মানুষের মাঝে পেীঁছিয়ে দেয়া। মানুষের সব কার্যক্রমের মধ্যে কমন দাওয়াতই ছিল আল্লাহর একত্ববাদ। আল্লাহকে জানা ও মানা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করা এবং যাঁরা আল্লাহর কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের আলোকে নিজেদের জীবন পরিচালনা করেন তাদের বক্তব্যকে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করা। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তাওহিদের ওপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হল-
ক. আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতে দিবসে জহান্নামে শাস্তি প্রাপ্তদের মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তিকে বলা হবে তোমার কী মনে হয়, যদি ভূ-ভাগের উপরিস্থিত সবকিছু তোমার আয়ত্ত্বাধীন করে দেয়া হয়। তবে কী তুমি সবকিছুর বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে নিস্কৃতি কামনা করবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তখন সে বলবে, হ্যাঁ অবশ্যই। আল্লাহ বলবেন, আমি (বরং) তোমার কাছে এর চেয়ে অধিক সহজ ও সস্তা (জিনিস) চেয়েছিলাম। আমি তোমার কাছ থেকে আদমের পৃষ্ঠদেশে অবস্থানকালীন সময়ে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম এই মর্মে যে, তুমি আমার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক বা অংশীদার সাব্যস্ত করবে না। (পরবর্তীতে তুমি তা অস্বীকার করলে এবং আমার সাথে শরীক সাব্যস্ত করলে। ” (মুসনাদে আহমদ)
দুনিয়াতে সর্ব কাজে আল্লাহর দৃষ্টি ও আল্লাহর শ্রবণ শক্তি রয়েছে এ বিশ্বাস থাকাই বাঞ্ছনীয়। অল্প আমলে নাজাত প্রাপ্তির যে পথ আল্লাহ উন্মুক্ত রেখেছেন তা পালনের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের পরকালে নাজাতের ফয়সালা করুন। আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে নিজেদর হেফাজত করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবার ঈমানকে বৃদ্ধি করে দিন। দ্বীনের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের ওপর আমল ও ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/এমআরআই