জুমার দিনের ফজিলত
সূর্য উদিত হওয়ার সময় থেকে অস্ত যাওয়ার সময়কে দিন আর সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় থেকে সূর্য উদিত হওয়ার সময়কে বলে রাত। আল্লাহ এই দিন ও রাত বান্দার কল্যাণে সৃষ্টি করেছেন এবং দিন-রাতের সৃষ্টির উদ্দেশ্য কুরআনের বিভিন্ন জায়গা তুলে ধরেছেন। এই দিনকে আবার সাত ভাগে নির্ধারিত করেছেন। জুমার দিন হচ্ছে এই সাত দিনের একদিন।
এ দিনের ফজিলত অত্যাধিক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে তা সুস্পষ্ট। যা জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
> হযরত আবু মুসা আশআ`রি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ কিয়ামতের দিনসমূহকে তার আকৃতিতে পুনরুত্থান করবেন। সেদিন জুমার দিনকে উজ্জ্বল আলোকময় করে উত্থিত করা হবে। যারা জুমার নামাজ আদায় করেছেন তারা তাকে ঘিরে রাখবে নববধূর মতো, যেন তার বরকে হাদিয়া দেয়া হবে। সে তাদেরকে আলো দান করবে। তারা তার আলোতে চলবে। তাদের রং হবে বরফের মতো সাদা এবং তাদের ঘ্রাণ মেশকের ঘ্রাণের মতো ছড়িয়ে পড়বে, তারা কর্পুরের পাহাড়ে আরোহণ করবে। জ্বিন এবং মানুষেরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে যতক্ষণ না তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে মুয়াজ্জিন ছওয়াবের আশায় আজান দিয়েছে তারা ব্যতীত অন্য কেউ তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না। (মুসতাদরেকে হাকেম, ইবনু খুযাইমাহ)
> হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিন আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিন তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ)
সুতরাং জুমার দিনের ফজিলত উম্মতে মোহাম্মাদির জন্য আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। এ দিনে আমরা আখেরাতমুখি কাজ তথা কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, তাসবিহ তাহলিলসহ ইবাদত বন্দেগিতে অতিবাহিত করাই মুমিন জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
## জুমার দিনে করণীয়
## জুমার দিনে মসজিদে যাওয়ার ফজিলত
এমএমএস/বিএ/আরআইপি