মাগফিরাত লাভ করতে পেরেছি কি!
আজ মাগফিরাতের দশকের শেষ দিন। ক্ষমার একচ্ছত্র অধিপতি মহান রাব্বুল আলামীন। কোনো মানুষই জানে না সে কতটুকু মাগফিরাত লাভ করতে পেরেছে। রমজানের শেষমূহূর্ত পর্যন্ত ক্ষমার আশায় আল্লাহর দরবারে ধরনা দিতে হবে। তবেই আল্লাহ সকলের দোয়া অবশ্যই কবুল করবেন। তিনি গাফুরুর রাহিম তথা ক্ষমাকারী ও অতিশয় দয়ালু। হাদিসের ভাষায়- হে আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল; আপনি ক্ষমাকে ভালবাসেন; সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘রমজান মাস পেয়েও যে তার ক্ষমার ব্যবস্থা করাতে পারেনি সে ধ্বংস হোক।’ এই ক্ষমা পাওয়ার জন্য সবসময় সমাজের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।
এ জন্য কিছু করণীয় রয়েছে-
ক. প্রত্যেক ব্যক্তিকে পরস্পরের মাঝে ক্ষমার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। কারণ কোনো অপরাধী ব্যক্তি ক্ষমা চাওয়ার পূর্বেই যদি অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়া হয় তবে সে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলাও ক্ষমা করে দেন।
খ. হৃদয় ও মন উজাড় করে অশ্রুসিক্ত নয়নে ফেলা আসা অতীত জীবনের সকল গুনাহের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর দরবারে কায়োমানো বাক্যে ক্ষমা প্রার্থণা করতে হবে। যে ব্যক্তি বারবার আল্লাহর দরবারে অশ্রুবিসর্জনে ক্ষমা চায়; আল্লাহ সেই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
গ. কোনো ব্যক্তি যদি ‘তাওবাতান নাসুহা’ অর্থাৎ পরিপূর্ণ তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার ওয়াদা করে। আর কখনও কোনো গুনাহের কাজে লিপ্ত হবে না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে এবং গুনাহ না করার প্রতিজ্ঞা কবুল হওয়ার প্রবল আশা রাখে তবে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা পাওয়ার এবং দোয়া কবুলের আশা করা যায়। তবেই মাগফেরাত আশা করা যায়? আমরা কি তা করতে পেরেছি? লাভ করতে পেরেছি ক্ষমা?
সুতরাং আসুন আজ থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ক্ষমার পাশাপাশি জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাতের প্রত্যাশায় একাগ্রচিত্তে কাটিয়ে দিব শুরু হওয়া শেষ দশকের দিনগুলো। ক্ষমা চাইতে থাকব মহান মা’বুদের আলীশান দরবারে। যার ভাণ্ডারে কোনো কিছুর অভাব নাই। হে আল্লাহ আপনি আমাদের মাফ করে দিন। আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাকুম; ইয়া গাফুরুর রাহিম।
জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। রমজান সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পডুন। কুরআন-হাদীস মোতাবেক আমলী জিন্দেগী যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন
এমএমএস/এমএস