আল্লাহর দিদার লাভে নফল ইবাদতের গুরুত্ব
সুরা আলাকের ১৯নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবিকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা করেন, ‘আপনি সিজদা করুন এবং নৈকট্য অর্জন করুন।’ নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো আল্লাহকে সিজদা করা। ফরজ নামাজের সিজদা আদায়ের পর নফল নামাজের সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর নেকট্য অর্জন সহজ হয়।
হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলীর (বন্ধুর) সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করি। বান্দা আমার নৈকট্য অর্জনের জন্য ফরজ আদায়ের চাইতে প্রিয় কোনো কাজ করেনি।
আর আমার বান্দা আমার নৈকট্য লাভে নফল আদায় করে থাকে। এক পর্যায়ে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আর আমি যখন তাকে ভালোবাসি তখন আমি তার চোখ, কান, হাত ও পা হয়ে যাই; যা দ্বারা সে দেখে শোনে, ধরে ও চলে।
যদি সে আমার কাছে চায়, তাহলে আমি তাকে দিয়ে দেই। যদি আমার আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি আশ্রয় দান করি।’ (বুখারি)
হাদিসে বান্দার চোখ, কান, হাত ও পা’কে আল্লাহর চোখ, কান, হাত ও পায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কারণ, যেহেতু বান্দার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো থেকে সব কাজ-কর্ম আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রকাশ পায় সেহেতু হাদিসে এ কথা বলা হয়েছে যে, আমিই যেন তার চোখ, কান, হাত ও পা হয়ে যাই।
কেননা ওই ব্যক্তি যখন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির বিপরীতে চোখ দ্বারা অন্য কিছু দেখে না; কান দ্বারা কোনো কথা শুনে না; তার বিধানে খেলাফ হাত ও পা চালায় না বরং যা কিছু করে তা শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে।
এ অবস্থায় বান্দাকে আল্লাহ তাআলা ভালোবেসে ফেলেন। আর যাকে ভালোবেসে ফেলেন; ওই ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে কোনো কিছুর আবদার করেন, আল্লাহ তাআলা তাঁকে চাহিদা মোতাবেক জিনিস না দিয়ে ফিরিয়ে দিতে পারেন না।
এ হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, যদি কোনো বান্দা ফরজ আদায়ের পর ইখলাসের সঙ্গে নফল ইবাদত-বন্দেগি করে তবে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন ওই বান্দার জন্য সহজ হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফরজ ইবাদত আদায় করার পাশাপাশি তাঁর ভালোবাসা অর্জনে নফল ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। পরকালের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর