কুরআনের বিধান বাস্তবায়নে যে নসিহত পেশ করেছেন বিশ্বনবি
দুনিয়াতে উপদেশ বা নসিহতের সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব হলো আল-কুরআন। এটা মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুসহ পরকালীন জীবনে সব দিক উল্লেখ রয়েছে এ কালজয়ী গ্রন্থে। যে গ্রন্থ আল্লাহ তাআলা অবিকল সংরক্ষণ করেছেন মানুষের বক্ষে। সর্বোপরি সংরক্ষণ করেছে লাওহে মাহফুজে।
এ সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থার কিতাবে মানুষের জন্য রয়েছে অসংখ্য নসিহত। যার বিশ্লেষণ করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পবিত্র জবানে বর্ণিত হাদিসে। যা কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং মানুষের পরকালের নাজাতের একমাত্র ওসিলা।
প্রিয়নবি কুরআনের নসিহতকে তাঁর ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আমল যথাযথ নসিহত পেশ করেছেন। হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সেব নসিহতের কিছু বর্ণনা করেছেন। যা তুলে ধরা হলো-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে (সাওয়ারিতে আরোহী) ছিলাম।
তিনি (প্রিয়নবি) বললেন, ‘ হে বালক! তোমার আমালের জন্য আমি তোমাকে কিছু (উপদেশমূলক) কথা নসিহত করছি-
>> আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধানের (কুরআনের নির্দেশের) হেফাজত করবে; তাহলে তিনি (আল্লাহ) তোমার হেফাজত করবেন।
>> আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির ব্যাপারে (কুরআনের বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে) সর্বদা খেয়াল রাখবে; তাহলে তাঁকে তুমি তোমার সামনে (সব কাজে সাহায্যকারী হিসেবে) পাবে।
>> যখন (তোমার) সাহায্যের প্রয়োজন হবে; তখন (শুধুমাত্র) আল্লাহ তাআলার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করবে।
মনে রাখবে-
>> (গোটা দুনিয়ার) সব লোক যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়; তবে আল্লাহ তাআলা তোমার তাকদিরে (ভাগ্যে)যা লিখে রেখেছেন; সে টুকু ছাড়া অন্য কেউই (দুনিয়ায়) তোমার (কম-বেশি) উপকার করতে পারবে না। এবং
>> যদি (দুনিয়ার) সব লোক একত্রিত হয়ে তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে; সে ক্ষেত্রেও আল্লাহ তাআলা তোমার তকদিরে (ভাগ্যে) যা নির্ধারণ করে রেখেছেন; তা ছাড়া (কম-বেশি) কোনো ক্ষতিই কেউ করতে পারবে না।
কেননা কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে আর কাগজগুলো শুকিয়ে গেছে। অর্থাৎ আল্লাহ বিধান সাব্যস্ত হয়ে গেছে। যার ব্যতিক্রম কিছুই হবে না। (তিরমিজি)
উল্লেখিত হাদিসে কুরআনে বিধানে যথাযথ বাস্তবায়ন এবং প্রিয়নবির সব উপদেশ গ্রহণ করার জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। যাতে কোনো রদ বদল হবে না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ গুরুত্বপূর্ণ নসিহতকে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে কুরআনের বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম