স্ত্রী-সন্তানের জন্য অভিভাবকদের যে দোয়া করা জরুরি
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দোয়াই ইবাদত।’ আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবি-রাসুল প্রেরণ করে ইবাদত-বন্দেগির রীতি-নীতি-পদ্ধতি শিখিয়েছেন। সব নবি-রাসুলের চাওয়া-পাওয়া ও পদ্ধতিগুলো প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কুরআন নাজিলের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
পরিবারের অভিভাবক তার অধীনস্থ স্ত্রী-সন্তানদের জন্য আল্লাহর কাছে কী দোয়া করবেন; আল্লাহ তাআলা কুরআনে তা তুলে ধরেছেন। যে দোয়া করেছিলেন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের জন্য করেছিলেন।
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মানুষজন ও খাদ্যবিহীন মরুভূমিতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে যাওয়ার সময় আল্লাহর কাছে তিনি এ দোয়া করেছিলেন। সে দোয়া আল্লাহ তাআলার নিকট এতটাই পছন্দনীয় হয়েছিল, যা তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে এ মুসলিম উম্মাহর জন্য তুলে ধরেছেন।
মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি অভিভাবকও যেন তাঁদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির জন্য আল্লাহর কাছে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামে আবেগ ও কুরআনের ভাষায় কল্যাণ কামনা করতে পারে। কুরআনের এ গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হলো-
উচ্চারণ : রাব্বানা- লিয়ুক্বিমুস সালাতা ফাঝআ’ল আ’ফই’দাতাম মিনান নাসি তাহ্ওয়ি ইলাইহিম ওয়ারযুক্ব্হুম মিনাছ ছামারাতি লাআ’ল্লাহুম ইয়াশকুরুন। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৭)
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তারা যাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও। আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর; যাতে তারা (আল্লাহ তাআলার) শুকরিয়া আদায় করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব অভিভাবকের এ দোয়াকে কবুল করুন। প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিকে নামাজি, দ্বীনদার, পরহেজগার, মুক্তাকি ও ঈমানদার হিসেবে কবুল করুন। আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠ ইবাদত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে উত্তম রিজিক দান করুন। সর্বোপরি শোকর-গুজার বান্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/আইআই