হাফেজ হলেন ৬০ বছরের রাবেয়া ইয়াসিন
কুরআন আল্লাহর কিতাব। কুরআনের হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তিনি মানুষের সিনায় এ কুরআনকে সংরক্ষণ করে তাঁর কুদরতের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
সাধারণত শিশু বয়সে কুরআন হেফজ করা সহজ। শিশু বয়সে কুরআনে হেফজের এ সহজ কাজটি বেশি বয়সে করা প্রায় অসম্ভব। ৬০ বছর বয়সী রাবেয়া ইয়াসিন ছিল এর ব্যতিক্রম। তিনি ৬ বছর সময়ে পবিত্র কুরআনুল কারিম হেফজ সম্পন্ন করেছেন।
৬০ বছর বয়সী হাফেজ রাবেয়া ইয়াসিন পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অদূরে কুঞ্জারত গ্রামের অধিবাসী। কুরআন হেফজের আগে আরবি ভাষা সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। তিনি স্থানীয় একটি মক্তবে নিয়মিত ক্লাস করে ৬ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হন। তাঁর এ মহৎ কাজ অন্যান্য মুসলিম নারীদের অনুপ্রাণিত করবে।
পাকিস্তানের নাগরিক এ নারীর কুরআন হেফজ-এর পেছনে রয়েছে অন্যরকম রহস্য। তিনি ৬ বছর আগে কুরআন হেফজ না করতেই পবিত্র হজ পালনের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কিন্তু তখন আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি তখন হজে করতে পারেননি।
তখন থেকেই তিনি হজের জন্য অর্থ সঞ্চয় করার পাশাপাশি কুরআন শেখা শুরু করেন। গত ৬ বছরে তিনি কুরআন হেফজের পাশাপাশি অর্থ সঞ্চয় এবং আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় হজের জন্য অর্থ যোগাড় করেন।
৬ বছরে কুরআন হেফজ করার পর এ (২০১৭) বছর তিনি পবিত্র হজ পালন করেন। তিনি তার বোন এবং বোনের স্বামীর সঙ্গে হজ পালন করেছেন। এর ফলে তার মনের একান্ত চাওয়া ‘হজ’ পালন হয়েছে। আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহে তিনি পবিত্র কুরআনুল কারিম-এর হেফজও সম্পন্ন করেছেন।
এমএমএস/এমএস