জান্নাতি পাথর ‘হাজরে আসওয়াদ’ ও তার উপকারিতা
হাজরে আসওয়াদ আল্লাহ তাআলার অনন্য নিদর্শনের একটি। ‘হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর’ মুসলিম উম্মাহর জন্য রহমতস্বরূপ জান্নাতি পাথর। যা ছিল বরফের ন্যায় ধবধবে সাদা।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বহস্তে বাইতুল্লাহ শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোনো তা স্থাপন করেন। হজ ও ওমরার ফরজ কাজ কাবা শরিফের তাওয়াফ এ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করতে হয়।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ পাথরে চুম্বন করেছিলেন। এ কারণেই মুসলিম উম্মাহ এ পাথরকে চুম্বন করে।
তাওয়াফ শুরু আগে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন বা স্পর্শ করা অথবা দূর থেকে ইশারা করে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে তাওয়াফ শুরু করতে হয়।
হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যদিও এ পাথরকে ‘হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর বলা হয়; মূলত এ পাথরের পরিচিতি হলো-
>> এ পাথরটি জান্নাত থেকে বরফ অপেক্ষা সাদা অবস্থায় অবতরণ করেছিল।
>> আদম সন্তানের পাপ গ্রহণ করতে করতেই তা ‘হাজারে আসওয়াদ বা কালো পাথরের’ রূপ ধারণ করেছে।
>> হাজরে আসওয়াদই একমাত্র জান্নাতি পাথর। যা ব্যতীত দুনিয়াতে অন্য কোনো জান্নাতি বস্তু বর্তমান নেই।
>> আল্লাহ তাআলা এ পাথরকে কিয়ামত দিবসে উঠাবেন। তখন এ পাথর ওই ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য প্রদান করবে যে তাকে সততার সঙ্গে স্পর্শ করেছিল।
>> নিঃসন্দেহে হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনির স্পর্শ দ্বারা আল্লাহ তাআলা বান্দার পাপ মিটিয়ে দেন।
সর্বোপরি কথা হলো-
‘হাজরে আসওয়াদ’কে যদি জাহেলি যুগের অপবিত্রতা স্পর্শ না করতো; তবে তাকে যে কোনো রোগ-ব্যাধি আক্রান্ত লোক স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই আরোগ্য লাভ করতো।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ ওমরা ও জিয়ারতকারীদেরকে দুনিয়ায় অবস্থিত জান্নাতি পাথর ‘হাজরে আসওয়াদ’কে চুম্বন বা স্পর্শ করার তাওফিক দান করুন।
হাজরে আসওয়াদের চুম্বন ও স্পর্শ করার ফজিলত দান করুন। কিয়ামতের দিন হাসরে আসওয়াদের সাক্ষ্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর