নিজের হজ না করে অন্যের হজ আদায় করা যাবে কি?
হজ ইসলামের সর্বোত্তম ইবাদত। আর্থিক শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ওপর হজ আদায় করা ফরজ। আর যাদের আর্থিক সামর্থ রয়েছে কিন্তু শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম তাদের পক্ষ থেকে অন্য কাউকে দিয়ে হজ আদায় করতে হবে।
আবার কারো ওপর হজ ফরজ ছিল কিন্তু আদায় করার আগেই মারা যায়, তবে সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি জন্য অন্য কাউকে দিয়ে হজ আদায় করতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো- যে ব্যক্তি প্রথমে নিজের হজ আদায় করেনি, সে অন্যের পক্ষ থেকে বদলি হজ আদায় করতে পারবি কি? সে ক্ষেত্রে করণীয় কি?
অন্যের হজ পালনে করণীয়
যে ব্যক্তি প্রথমে নিজের হজ আদায় করেনি সে অন্যের পক্ষ থেকে বদলি হজ আদায় করতে পারবে না। আর ইহা আলেমদের অভিমত। এ ব্যাপারে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে ‘লাব্বাইক আ’ন শুবরামাহ’ বলতে শুনলেন। অতঃপর (তাকে) বললেন, শুবরামাহ কে?
সে বলল, আমার ভাই বা আমার আত্মীয়। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি তোমার হজ আদায় করেছ? সে বলল, ‘না’।
তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন আগে তুমি নিজের হজ কর; তারপর শুবরামাহ’র হজ কর। (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, বাইহাকি)
হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী কেউ যদি অন্যের হজ আদায় করতে চায়, তবে ওই ব্যক্তিকে আগে নিজের হজ আদায় করে নিতে হবে। অতঃপর অন্যের হজ আদায় করতে পারবে। হজ এবং ওমরা পালন করার নির্দেশ রয়েছে কুরআনুল কারিমে। সামর্থবানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এ নির্দেশ পালন করা ফরজ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে প্রথমে যথা সময়ে নিজের ওপর ফরজ হওয়া হজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। অতঃপর অপর মুমিন বান্দার প্রয়োজনে বদলি হজ আদায়ের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম