তাওয়াফকারীদের জন্য যে কাজগুলো ওয়াজিব
হজ সুনির্দিষ্ট কয়েকদিন। আর তাওয়াফ চলে সব সময়। বাইতুল্লায় শুধুমাত্র জামাআতের সময় ছাড়া তাওয়াফ বন্ধ নাই। চাই তা হজের সময় হোক কিংবা ঈদ। এ কারণেই সঠিক পদ্ধতিতে তাওয়াফ সম্পন্ন করার জন্য এর বিধিবিধানে গুরুত্ব দেয়া জরুরি। তাওয়াফকারীদের জন্য ওয়াজিব বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-
তাওয়াফের ওয়াজিব
>> ছোট-বড় নাপাকি (হদসে আসগার/হদসে আকবার) থেকে গোসল/অজুর মাধ্যমে পবিত্র হওয়া।
>> সতর ঢাকা অর্থাৎ শরীরের যে সব অঙ্গ অনাবৃত থাকা নিষিদ্ধ, সেগুলো কাপড় দ্বারা আবৃত রাখা।>> পায়ে হেঁটে তাওয়াফ করা। তবে যদি কেউ অসুস্থ হয় তার জন্য ভিন্ন কথা।
>> নিজের ডান দিক থেকে তাওয়াফ করা। অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদ-এর কোনো থেকে বাইতুল্লাহর দরজা যে দিকে, সে দিকে তাওয়াফের জন্য অগ্রসর হওয়া।
>> তাওয়াফের সময় অবশ্যই হাতিমকে তাওয়াফের সীমার মধ্যে রাখবেন। অর্থাৎ বাইতুল্লাহকে হাতিমসহ তাওয়াফ করা।
>> হাজরে আসওয়াদের কোনোয় চিহ্নিত দাগ তাওয়াফ শুরু করা। তবে অনেকে এটাকে সুন্নাত বলেছেন।
>> সাত চক্করের মাধ্যমে তাওয়াফ পূর্ণ করা ওয়াজিব। অধিকাংশ চক্কর সম্পন্ন হলেই তাওয়াফের ফরজিয়ত আদায় হয়ে যায়। কিন্তু সাত চক্কর পূর্ণ করা ওয়াজিব।
>> তাওয়াফের পর (মাকামে ইবরাহিমে) দুই রাকাআত নামাজ আদায় করা।
উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোনটি ছুটে গেলে পুনরায় তাওয়াফ করতে হবে নতুবা দাম বা কুরবানি দিতে হবে। ওয়াজিব তরকের ভুলের জন্য কুরবানি দেয়াও ওয়াজিব বা আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওয়াফ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস