রোজা পালনে জান্নাতের ঘোষণা দিলেন বিশ্বনবি
হজরত আদম আলাইহিস সালামের যুগ থেকেই সিয়াম-সাধনার রীতি চালু হয়েছে। কিন্তু মাসজুড়ে রোজা পালন কেবলই বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের জন্যই ফরজ করা হয়।
রোজা এমন এক ইবাদত; যা মানুষকে দৈহিক, আত্মিক, নৈতিক, আধ্যাত্মিক উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী। সংযম সহিষ্ণুতা ও আত্মশুদ্ধি অর্জনে রমজান মাসের রোজা পালন অন্যতম মাধ্যম। কারণ এ মাসেই আল্লাহ তাআলা গোটা বিশ্ব মানবতার কল্যাণে নাজিল করেছেন মহাগ্রন্থ আলকুরআনুল কারিম, যা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দেয়।
রমজান মাস মানুষের ইবাদত বন্দেগির জন্য এতই সহায়ক যে, যখন রমজান মাস শুরু হয় তখন দোজখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয় এবং বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। এ কারণেই রমজানে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ সম্ভব হয়।
রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে মানুষ তার মনের সব কু-রিপুসমূহকে জালিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে রহমত মাগফেরাত ও নাজাত লাভে ধন্য হয়। এক কথায় ছোট সকল গোনাহ থেকে মুক্তি লাভ করে। আর যারা এ মাসে খালেস তাওবা করে আল্লাহ তাআলা তাদের বড় বড় গোনাহসমূহও মাফ করে দেন।
এ মাসে রোজা পালনের ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। রমজানের রোজা পালনকারীর জন্য প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনলো; নামাজ প্রতিষ্ঠা করলো; যাকাত আদায় করলো; রমজান মাসের রোজা পালন করলো; তার জন্য আল্লাহ ওপর ওই বান্দার অধিকার হলো যে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়া। (বুখারি)
তাছাড়া আল্লাহ তাআলা রমজান মাসকে নিজের মাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রমজান মহান আল্লাহর মাস।’ সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর মাসে রোজা পালন করবে পরকালীন মুক্তি তার জন্য অবধারিত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসে যথাযথভাবে রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস