জুমআর নামাজ আদায় করবেন যারা
শুক্রবার জুমআ’র দিন। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন। শুক্রবারের জুমআ’র নামাজ আদায় অন্যান্য দিনের নামাজের মতো নয়। বরং এ দিনের নামাজ আদায়ে রয়েছে অনেক গুরত্বপূর্ণ ফজিলত। কেননা এ দিনকে ঘিরে রয়েছে মহান আল্লাহ তাআলার অসংখ্যা নেয়ামতের উপলক্ষ। আল্লাহ তাআলা মহা মূল্যবান নেয়ামত হিসেবে এদিনটি মুসলমানের ইবাদতের জন্য দান করেছেন। জুমআর নামাজ আদায়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও বিধান।
জুমআর হুকুম
>> জুমআর নামাজ দুই রাকাআত। ইহা প্রতিটি মুসলিম, বালেগ, বিবেকবান ও স্বাধীন মানুষের জন্য পড়া আবশ্যক। শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে একটি জনপদে বসবাসরত ব্যক্তিদের ওপর এ নামাজ আদায় করা ফরজ।
>> নারী, রোগী, শিশু, মুসাফির ও দাস-দাসীর ওপর জুমআ’র নামাজ আদায় করা ফরজ নয়। তবে এদের মধ্যে যারা জুমআর নামাজে হাজির হবে তার জন্য এ নামাজ যথেষ্ট হয়ে যাবে।
>> আর মুসাফির যদি কোনো স্থানে অবতরণ করে অবস্থান নেয় (যাত্রা বিরতি করে)। আর সেখানে জুমআর আজান শুনতে পায়, তবে তার জন্য জুমআ আদায় করা জরুরি।
জুমআ বাস্তবায়নের শর্ত
>> জুমআর নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে; তার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় করা আবশ্যক।
>> জনপদের মধ্য হতে কমপক্ষে দুই বা তিন জন নামাজি উপস্থিত থাকতে হবে।
>> নামাজের পূর্বে দু’টি খুতবা দিতে হবে।
>> খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর জিকির ও শুকরিয়ার বর্ণনা থাকবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা এবং আল্লাহর ভয়ের ব্যাপারে নসিহত করতে হবে।
>> জুমআ’র নামাজ আদায় করলে জোহরের নামাজ পড়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ জুমআ’র নামাজই জোহরের নামাজের জন্য যথেষ্ট।
>> জুমআ’র নামাজ বাস্তবায়নে এর হেফাজত করা ফরজ। জুমআর নামাজ পরিত্যাগকারীর জন্য রয়েছে মহা অভিশাপ। হাদিসে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি অলসতা করে পরস্পর তিনটি জুমআ ত্যাগ করে আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (নাউজুবিল্লাহ)
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, জুমআ’র নামাজ আদায় করার হুকুমের আওতাধীন ব্যক্তি জুমআ’র হুকুম ও শর্ত মেনে নামাজ আদায় করা। জুমআ’র নামাজের হুকুম ও শর্তসমূহ সমাজের লোকদের জানিয়ে তা বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে জুমআর হুকুম ও শর্তানুযায়ী নামাজ আদায় করার সঙ্গে সঙ্গে সমাজে এ নামাজ বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস