বংশ পরিচয় গোপন করার পরিণতি ভয়াবহ
মানুষ ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের বংশ পরিচয় দেয়ার প্রয়োজন হয়। এ সব ক্ষেত্রে অনেকেই নিজিদের বংশ-পরিচয় প্রদানে গোপনীয়তা অবলম্বন করে। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পিতৃ পরিচয়ও গোপন করতে দ্বিধা করে না।
আবার অনেকে বিনা কারণে একজন অপর জনকে অন্যায় ভাবে আল্লাহর দুশমন বলে গালি দেয়। এ সবই ইসলামে মারাত্মক অপরাধ তথা কুফরি। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে বংশ পরিচয় গোপনকারীদেরকে সতর্ক করে বর্ণনা করেন-
হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি নিজের পিতা সম্পর্কে অবগত থেকেও অপর কাউকে পিতা বলে দাবি করে; সে কুফরি করলো।
আর যে ব্যক্তি নিজেকে এমন বংশের লোক বলে দাবি করে, যে বংশের সঙ্গে তার আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই, সে ব্যক্তিও নিজের বাসস্থান জাহান্নামে তৈরি করে নিলো।
আর যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কাফের বলে ডাকলো অথবা বললো হে আল্লাহর দুশমন!, অথচ সে এরূপ (আল্লাহর দুশমন) নয়, তখন তার এ সম্বোধন নিজের দিকেই ফিরে আসবে। (মুসলিম)
হাদিসের শিক্ষা-
>> পিতৃ পরিচয় গোপন করা যাবে না। যদি কেউ পিতৃ পরিচয় গোপন করে অন্য কাউকে পিতা বলে দাবি করে তবে ওই ব্যক্তি ঈমান হারা হয়ে যাবে।
>> সঠিক বংশ পরিচয়ে বেড়ে ওঠা উত্তম। বংশ পরিচয় জানা না থাকলে নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়া অন্য বংশের পরিচয় না দেয়াই শ্রেয়। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়টিতে বলেছেন, যারা বংশ পরিচয় গোপন করে অন্য পরিচয় দেয় তারা জাহান্নামি। (নাউজুবিল্লাহ)
>> আবার কাউকে অনর্থক কাফের বলে সম্বোধন করা মারাত্মক কুফরি। বিশেষ করে আমাদের সমাজে (এক শ্রেণির আলেম ও তাদের ভক্তদের মধ্যে) এমন প্রবণতা দেখা যায় যে, একজন আরেক জনকে কাফের সাব্যস্ত করে। যদি ওই ব্যক্তি কাফের না হয় তবে ওই ব্যক্তির কথা তার নিজের দিকেই ফিরে আসবে।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, পরিচয় দেয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা। অনেকেই এ অনিচ্ছাকৃত অজানা ভুলে ঈমানহারা হওয়ার মতো মারাত্মক অপরাধ করে বসে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী আলোচিত বিষয়ের গোনাহ থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর