শয়তানের ধোকা থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর রহমতের কারণে ক্ষমা ও নাজাত দান করবেন। তারপরও কুরআন হাদিসে অসংখ্য আমল ও দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ঈমানকে খাঁটি কর; অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’
যদিও মানুষ নিজ আমল দ্বারা আল্লাহর দরবারে ক্ষমা পাবে এমন চিন্তাভাবনা করা একেবারেই অমুলক। কারণ, এই ফেতনার যুগের যেখানে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী হওয়া অকেন কঠিন, সেখানে নিজের আমলের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ছাড়া তার দরবারে নাজাত লাভ অসম্ভব।
শয়তান মানুষের সবচেয়ে বড় ও প্রকাশ্য দুশমন। শয়তানের ধোকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থেকে মানুষ যদি তাঁর ঈমান খাঁটি করার সাথে সাথে সহিহ পদ্ধতিতে আমল করে তবে আল্লাহর রহমতে মুক্তি লাভের আশা করা যায়। শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্তি লাভের একটি সহজ দোয়া তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির।’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য প্রশংসা। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এই ছোট্ট দোয়াটি পাড়বে, সে দশ জন ক্রীতদাস মুক্ত করার ছাওয়াব পাবে। তার আমল নামায় ১০০ পূণ্য লেখা হবে। তার ১০০ গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ব্যক্তি শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে নিরাপদ থাকবে। এর চেয়ে উত্তম আমল আর কেউ করতে পারবে না। কিন্তু তার কথা ভিন্ন, যে এর চেয়েও বেশি আমল করে।
পরিশেষে…
প্রতি দিন প্রত্যেক নামাজের পর উল্লেখিত এ দোয়টি ১০০ বার পাঠ করে এ অমূল্য ছাওয়াব লাভের পাশাপাশি ঈমানদারে সবচেয়ে বড় প্রকাশ্য দুশমন শয়তানের ধোকা ও প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দৈনিন্দিন জীবনে বিশ্বনবির শিখানো আমলগুলো করার মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালীন জীবনের শান্তি ও কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর