যাদেরকে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব
মানুষের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী হলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে মানুষের হেদায়াত এবং তাঁর জীবন ব্যবস্থা প্রচার ও প্রসারে দুনিয়াতে অনেক নবি ও রাসুল পাঠিয়েছেন। আর নবি-রাসুলগণও আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাঁর বাণী মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে দুনিয়ার জীবন-যাপনে দিয়েছেন সঠিক দিকনির্দেশনা। মানুষের কল্যাণে তিনি নাজিল করেছেন আসমানি গ্রন্থ কুরআন এবং আরো রয়েছে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জবান নিসৃত হাদিস।
মানুষের দুনিয়ার জীবন সুন্দর এবং পরকালকে স্বার্থক করে তুলতে রয়েছে কুরআন হাদিসে অনেক সুস্পষ্ট নির্দেশনা। হাদিসে গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশনা প্রদান করেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যা তুলে ধরা হলো-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর কর্তব্য।
>> আযাদী চুক্তিবদ্ধ গোলাম- যে তার রক্তমূল্য আদায় করতে চায়;
>> পবিত্রতার মানসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি;
>> আল্লাহর পথের মুজাহিদ। (তিরমিজি, মিশকাত)
উল্লেখিত হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনটি কল্যাণমূলক কাজে বান্দাকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য বলে মনে করছেন।
>> যে ব্যক্তি রক্তমূল্য আদায় করে মুক্তি লাভ করতে চায়, ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলার নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করেন।
>> দুনিয়ার জীবনে পাশবিকতার উচ্ছৃঙ্খলপনা থেকে নিজেকে হেফাজত করতে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিবাহ বন্ধে আবদ্ধ হতে চায়, তাদেরকে সাহায্য করাও আল্লাহর দায়িত্ব হয়ে যায়। এবং
>> ওই ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করাও আল্লাহ তাআলার দায়িত্ব, যারা আল্লাহর বিধানগুলোকে পৃথিবীতে বাস্তবায়ন করতে বাতিলের সঙ্গে প্রাণন্তকর প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এ সব লোকদেরকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলা কর্তব্য হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করে আল্লাহর সাহায্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর