ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

লজ্জাশীলতার সুফল

প্রকাশিত: ০৬:০২ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

লজ্জাশীলতা মুমিনের অলংকার। লজ্জা ও সম্ভ্রম মানুষের এমন একটি স্বভাবজাত গুণ; যার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বহুবিদ নৈতিক গুণাবলীর সমাবেশ ঘটে।

লজ্জাশীলতার কারণেই মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতা ও নির্মলতার বিকাশ ঘটে। জবাবদিহিতার আগ্রহ তৈরি হয়। এমনকি লজ্জা বা সম্ভ্রমের কারণে যাবতীয় জটিলতা, কুটিলতা, পাপ-পংকিলতা ও মলিনতা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘লজ্জা ঈমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

লজ্জা যে শুধু মানুষের ঈমানের একটি বিশেষ শাখা তাই নয়, বরং আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত। হাদিসে এসেছে-
Lazzashilata

‘তোমাদের প্রতিপালক লজ্জাশীল, পরম দয়ালু। বান্দা যখন তাঁর দরবারে উভয়হাত উঠায়, তখন তিনি বান্দার খালি হাত ফেরত দিতে লজ্জাবোধ করেন।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ ও মিশকাত)

লজ্জা বা শরম মানুষকে সব অনিষ্ট কাজ থেকে রক্ষা করে। লজ্জাহীন মানুষ সব সময় বিরাহমীহনভাবে মন্দ কাজ করতে পারে। কোনো কিছুই তাকে মন্দকাজ থেকে ফেরাতে পারে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘লজ্জা-শরম না থাকলে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে।’ (বুখারি ও মিশকাত)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। যা তাঁর হাদিস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়।

হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব লজ্জাশীল ছিলেন। যে জিনিসিই তাঁর কাছে চাওয়া হতো, তিনি তা দিয়ে দিতেন।

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তিনি কুমারী অপেক্ষাও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্দা পালনকারী কুমারী অপেক্ষাও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। তিনি যখন কোনো কিছু অপছন্দ করতেন, তখন আমরা তাঁর পবিত্র চেহারা দেখেই বুঝে ফেলতাম।

পরিশেষে...
লজ্জাশীলতার বিষয়ে বিশ্বনবির ছোট্ট একটি উপদেশ উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য অত্যন্ত জরুরি। আর তা হলো, ‘বিশ্বনবি একদিন এক আনসারি সাহাবির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় তার ভাই তাকে বেশি লজ্জাশীল না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। (কারণ জীবিকা অন্বেষণ ও ইলম অর্জনের জন্য ক্ষতিকর) এ কথা শুনে বিশ্বনবি বললেন, ‘তাকে এভাবে থাকতে দাও। যেহেতু লজ্জাশীলতা ঈমানেরই একটি অঙ্গ। (বুখারি ও মিশকাত; হাদিসটি হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন)

তবে সত্য প্রকাশে লজ্জাবোধ করলে চলবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং আল্লাহ সত্য কথা বলতে সংকোচবোধ করেন না।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৫৩)

সুতরাং সত্য প্রকাশের বিষয় ছাড়া সব কাজেই লজ্জাশীলতা, লজ্জাবোধ মানব জীবনে জাগ্রত থাকা জরুরি। লজ্জা বা সম্ভ্রমই মানুষের জীবনে সুফল বয়ে আনে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে লজ্জাশীলতার গুণ অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

আরও পড়ুন