কালিমার জিকিরের ফজিলত
মুসলমানের কালিমা হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। এটা তাওহিদ তথা একত্ববাদের কালিমাও বটে। এ কালিমা পড়েই একজন মানুষকে সর্বপ্রথম ঈমানের মূল্যবান সম্পদ অর্জন করতে হয়। তারপরই মানুষের প্রতি ইসলামের অন্যসব বিধি-বিধান আদায় করা আবশ্যক হয়।
আল্লাহর দরবারে ঈমান ব্যতীত অন্য কোনো আমলই গ্রহণযোগ্য হবে না। দুনিয়ার সব আমল গ্রহণযোগ্য হওয়ার পূর্বশর্তই হলো ঈমান গ্রহণ করা। আর মুখে এ কালিমা পাঠের সঙ্গে অন্তরে বিশ্বাস এবং কর্মে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মানুষ ঈমানদার হিসেবে পরিগণিত হয়।
আর তাওহিদের কালিমার জিকিরের ফজিলত তাদের জন্যই, যারা এ কালিমার পাঠ, বিশ্বাস এবং কর্মে বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে ঈমানদার হিসেবে তৈরি করে নিয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে ঈমানদারদের জন্য তাওহিদের কালিমার জিকিরের ফজিলত তুলে ধরা হলো-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নবি নুহ আলাইহি সালাম তাঁর মৃত্যুর সময় তাঁর ছেলেকে বলেন, ‘আমি তোমাকে দুটি জিনিসের অসিয়ত করছি। আদেশ করছি- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র (জিকিরের)।
স্মরণ রাখবে- যদি সাত আসমান ও সাত জমি এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়। তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র পাল্লার (ওজনে) ভারি হবে।
আর যদি সাত আসমান ও সাত জমিন একটি অবিচ্ছেদ্য গোলাকার বৃত্ত হতো। তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ উভয়টিকেই চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিতো। ইহা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং এর (জিকিরের) মাধ্যমেই সমগ্র সৃষ্টিরাজি রুজি পেয়ে থাকে।
আর তোমাকে নিষেধ করি (দুটি জিনিস থেকে)- শিরক এবং অহংকার থেকে। (মুসনাদে আহমদ, বুখারি ও আদাবুল মুফরাদ)
পরিশেষে...
তাওহিদের কালিমার জিকির যার অন্তরে বিরাজমান থাকবে; তাঁকে শিরক এবং কুফর স্পর্শ করতে পারবে না। যার অন্তরে তাওহিদের কালিমার জিকির থাকবে দুনিয়ার কোনো অহংকার ঈমানদার বান্দার হৃদয়ে আসতে পারবে না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাওহিদের কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জিকিরের আমল করার তাওফিক দান করুন। পরকালের সফলতা লাভে পরিপূর্ণ ঈমানদার হিসেবে নিজেকে তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর