ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

যে কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি

প্রকাশিত: ০৩:৪৫ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

কুরআন এবং হাদিসে মানুষের ভালো-মন্দ বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। যা  মানুষকে অন্যায়-অনাচার থেকে হিফাজত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষ সামান্য ভুলের কারণে মারাত্মক অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়ে।

যে সব অন্যায়ের কারণে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের ময়দানে কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর (মানুষের) সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। এমনকি তাদের প্রতি দয়ার দৃষ্টিতেও তাকবেন না। বরং তারা কঠিন আজাবে নিপতিত হবে। আর তা হলো-

বৃদ্ধাবস্থায় ব্যভিচার
এর মানে এই নয় যে, যৌবন কালে ব্যভিচার করা দোষণীয় নয়। বরং ব্যভিচার সর্বাবস্থায়ই মারাত্মক অপরাধ। কিন্তু বৃদ্ধাবস্থায় ব্যভিচারকারীদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বনের কারণ হলো, বৃদ্ধাবস্থায় সাধারণত যৌনক্ষুধা নিবৃত থাকে এবং মৃত্যুর সময় সন্নিকটে বিধায় বৃদ্ধাবস্থায় কোনো ব্যক্তির ব্যভিচারের মতো গর্হিত কাজে কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এ কারণেই তা সীমাহীন জঘন্য অন্যায় বলে পরিগণিত।

শাসকের মিথ্যা কথা বলা
মিথ্যা সব পাপের জননী। আর তাই মিথ্যা সবার জন্যই মারাত্মক অপরাধ। এখানে শাসকের কথা গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করার কারণ হলো, বাদশাহ বা শাসকগণতো কারো ভয়ে ভীত হওয়ার কথা নয় এবং কারো বাধ্যও নয়। ক্ষমতা ও প্রভাব থাকা সত্ত্বেও শাসকের মিথ্যা বলা সাধারণ মানুষ অপেক্ষা মারাত্মক অপরাধ। তাই সমাজের সব দায়িত্বশীলদেরকে মিথ্যা পরিহার করা জরুরি।

গরিবের অহংকার
বাদশাহ-ফকির, ধনী-গরিব, উঁচু-নীচু, ছোট-বড় সবার জন্যই অহংকার করা মারাত্মক অপরাধ। কিন্তু দরিদ্র মানুষের অহংকার করা বড়ই আশ্চর্যের বিষয়। কেননা গরিব মানুষের মধ্যে অংকারবোধ জাগ্রত হওয়ার কোনো কারণ থাকার কথা নয়। এ কারণে কোনো গরিব মানুষ যদি অহংকার করে বসে তা মারাত্মক অপরাধ।

পরিশেষে...
মানুষ যুবক হোক আর বৃদ্ধ হোক ব্যভিচার থেকে হিফাজত থাকা জরুরি। বিশেষ করে বৃদ্ধদের তা একেবারেই কাম্যনয়। আবার রাজা হোক আর প্রজা হোক মিথ্যা পরিহার করা আবশ্যক। বিশেষ করে যারা সমাজে মিথ্যার প্রচলন দূর করবে তাদের মিথ্যার আশ্রয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঠিক এমনিভাবে ধনী হোক আর গরিব হোক অহংকার থেকে মুক্ত থাকা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ব্যভিচার, মিথ্যা এবং অহংকারের মতো মারাত্মক অন্যায় থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। উল্লেখিত তিনটি বিষয় থেকে বিরত থেকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার নেক দৃষ্টি এবং দয়া লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন