যে কারণে সর্বোত্তম ইবাদত নামাজ
ইসলামের প্রধান ইবাদত নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে দ্বীনের খুটি এবং সর্বোত্তম ইবাদাত হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। নামাজের সঙ্গে অনেক ইবাদাত ও আমল সম্পর্কযুক্ত। সঠিকভাবে নামাজ আদায় করলে মানুষের অন্যান্য ইবাদাত ও আমলগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। আর নামাজে ত্রুটি থাকলে কোনো আমলই সুসম্পন্ন হয় না। এ কারণেই দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভে মানুষের জন্য নামাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
হাদিসে এসেছে, ‘কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজেরই হিসাব গ্রহণ করা হবে।’ যে ব্যক্তি নামাজের হিসাব যথাযথ দিতে পারবে, তার অন্যান্য আমলের জবাবদিহি সহজ হয়ে যাবে। কোনো ব্যক্তি যদি ধারাবাহিকভাবে ৪০ দিন তাকবিরে উলা’র সঙ্গে নামাজ আদায় করে, এর ফলে মুনাফিকের তালিকা থেকে ওই ব্যক্তির নাম কেটে দেয়া হয়।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারিমে নামাজের নির্দেশ ও তাঁর ফলাফলের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো; নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ আল্লাহ তাআলার এ ঘোষণা দুনিয়ার জন্য। দুনিয়াতে যে নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে, সে ব্যক্তিই দুনিয়া ও পরকালে সফলকাম।
নামাজের মাধ্যমেই সত্য-মিথ্যার পার্থক্য সাধিত হয়। মানুষের মধ্যে কারা মুসলমান আর কারা মুসলমান নয়, নামাজের দ্বারাই তা নির্ণয় করা হয়েছে। হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কাফের ও মুমিনের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ ছেড়ে দেয়া।’ এ কারণেই ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়া কুফরি।
পড়ুন- নামাজ পড়বেন যেভাবে
নামাজ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত হওয়ার একমাত্র কারণ হলো- নামাজেই আল্লাহ তাআলাকে সিজদা করা হয়। সিজদা আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয়। সিজদার মাধ্যমেই বান্দা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন লাভে সক্ষম হয়।
নামাজই একমাত্র ইবাদত; যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমৃত্যু ইমামতির মাধ্যমে আদায় করেছেন। সুতরাং দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভে আল্লাহ তাআলার জন্য একনিষ্ঠ মনে নামাজ পড়তে হবে। সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে একনিষ্ঠ মনে যথা সময়ে নামাজ পড়ে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর