দ্বীনি কাজে প্রতিযোগিতার প্রাপ্তি
আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য সত্যদ্বীনসহ বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই- এ জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা। তাইতো মুমিন মুসলমান পরস্পরে দ্বীনি কাজে সব সময় প্রতিযোগিতা করে থাকে। কারণ দ্বীনি কাজের প্রতিযোগিতার উপহার হলো পরকালে ক্ষমা এবং চিরস্থায়ী জান্নাত প্রাপ্তি।
আল্লাহ তাআলা বান্দাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৪৮)
মহান প্রভু তাঁর প্রিয় বান্দাদের সৎ কাজের প্রতি বেশি উৎসাহী করে তোলার জন্য জান্নাত এবং ক্ষমার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসুলের, যাতে তোমাদের ওপর রহমত করা হয়। তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও জমিন, যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩২-১৩৩)
তাছাড়া দেরি না করে দ্বীনি কাজে প্রতিযোগিতার ব্যাপারে বিশ্বনবির হাদিসে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা মুহূর্তকাল বিলম্ব না করে সৎকাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাও; কারণ খুব শীঘ্রই অন্ধকার রাতের মতো অশান্তি-বিশৃংখলা দেখা দেবে।
তখন মানুষ সকাল বেলা মুমিন থাকবে তো সন্ধ্যায় কাফির হয়ে যাবে। আবার সন্ধ্যায় মুমিন থাকবে তো সকাল বেলা কাফির হয়ে যাবে। সে তার দ্বীনকে জাগতিক সম্পদের বিনিময়ে বিক্রয় করে দেবে। (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব ধরনের ফিতনা ও গোমরাহী থেকে হিফাজত করে দ্বীনি কাজে নিয়োজিত থাকার এবং সৎকাজে প্রতিযোগিতা করার তাওফিক দান করুন। দ্বীনি কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস