মানুষের কল্যাণে বিশ্বনবির গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র জাতির জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। তিনি মানুষের পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা লাভে দুনিয়ায় জীবন ও সময়কে ইসলামের বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। মানুষের দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস তুলে ধরা হলো-
হজরত মাইমুন বিন মাহরান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পাঁচটি বিষয়কে পাঁচ বিষয়ের পূর্বে গণীমত মনে কর-
১. বার্ধক্য আসার আগে যৌবনকালকে;
২. অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে;
৩. ব্যস্ততা আসার আগে অবসর সময়কে;
৪. দারিদ্র্য-আসার আগে স্বচ্ছলতাকে;
৫. মৃত্যু আসার পূর্বে হায়াতকে। (তিরমিজি, মুসলিম, মুস্তাদরেকে হাকেম, বয়হাকি) গুরুত্বপূর্ণ এ হাদিসটি হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও বর্ণিত হয়েছে।
পাঁচটি বিষয়ের মর্যাদার কারণ
০১. যৌবনকাল এবং সক্ষমতার সময়ে আল্লাহ তাআলা ইবাদাত-বন্দেগি ও তাঁর বিধি-বিধান বাস্তবায়নে যেভাবে মেহনত করা সম্ভব; বৃদ্ধ বয়সে ইসলামের কাজে যৌবনের সময় দেয়া সম্ভব নয়।
০২. সুস্থতা জীবনের অনেক মূল্যবান সম্পদ। অসুস্থ্য হলেই মানুষ বুঝতে পারে সুস্থ্যতার মূল্য কত। তাই যারা সুস্থ অবস্থায় দুনিয়াকে আখিরাতের শস্য ক্ষেত্র মনে করে ইসলামের বিধান বাস্তবায়নের কাজে সময় অতিবাহিত করে; তাদের জন্য অসুস্থ সময়েও আল্লাহ তাআলা সাওয়াব দান করেন।
০৩. আল্লাহ তাআলা রাতকে মানুষের জন্য অবসরের সময় হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এ সময়কে যারা জিকির ও ইবাদাতের মাধ্যমে কাটায় তারাই সফলকাম। তাছাড়া মানুষ দিনের বেলায় ব্যস্ততার কারণে ইবাদাত-বন্দেগি সময় হয় না।
০৪. সম্পদশালী থাকাবস্থায়ই সম্পদের মূল্যয়ন করা। অপচয় না করা। মন্দ পথে অর্থ খরচ না করার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। কারণ অভাবের- কারণে মানুষ ঈমান হারা হয়ে যায়।
০৫. যেহেতু দুনিয়া আখিরাতের শষ্যক্ষেত্র। তাই আখিরাতের চিরস্থায়ী জীবনের শান্তির জন্য নেক আমল অর্জন করা জরুরি। দুনিয়ায়-ই নেক আমল অর্জনের সর্বোত্তম জায়গা। তাই মৃত্যুর পূর্বেই জীবনের মূল্যায়ন করা এবং হাদিসের নির্দেশ অনুযায়ী আমল করা ঈমানের অপরিহার্য দাবি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিসের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আমলি জিন্দেগি যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস