যে সময়ে জান্নাতের দরজা খোলা থাকে
জান্নাতি ব্যক্তিদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে রাখা হবে। জান্নাতের দরজাগুলো থেকে তার যোগ্য ব্যক্তিদের আহ্বান করা হবে। জান্নাতের দরজা খুলে রাখা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ইহা হলো স্মরণীয় জিনিস এবং পরহেজগারদের জন্য সুন্দর আবাসস্থল। জান্নাতে আদন যার দরজাগুলো খোলা থাকবে। (সুরা সোয়াদ : আয়াত ৪৯-৫০)
হাদিসের বর্ণনা থেকে জানা যায়, নির্ধারিত কিছু দিন এবং বিশেষ কিছু সময়ে দুনিয়ার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়। সে সময় দুনিয়ায় বসেই মানুষজন জান্নাতি আবহ অনুভব করে থাকে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলু্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতের দরজাগুলো সোমবার ও বৃহস্পতিবার খুলে দেয়া হয়। আর ওইসব বান্দাকে মাফ করে দেয়, যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করেনি। কিন্তু ওই ব্যক্তি ব্যতীত যে তার ভাইয়ের ও তার মাঝে শত্রুতা রাখে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যখন রমজান মাস প্রবেশ করে তখন জান্নাতের সব দরজা খুলে দেয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।’ (বুখারি মুসলিম)
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যখন পূর্ণভাবে ওজু শেষ করে অতঃপর বলবে- ‘আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আ’বদুহু ওয়া রাসুলুহু’; তখন তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়; সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম)
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ায় বেহেশতি পরশ লাভ করতে ওজুর পর কালিমা শাহাদাত পাঠ করার তাওফিক দান করুন। বারবার পবিত্র রমজান মাস দান করুন এবং প্রত্যেক সোমবার এবং বৃহস্পতিবার বেশি বেশি নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস