হিজাব ইমোজির প্রস্তাবনা সৌদি কিশোরীর
মানুষ যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ম্যাসেজ বা অনুভূতি ভাগাভাগি করতে চায় তখন সাধারণত ইমোজি ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি টেক্স না লিখেও অনুভূতি প্রকাশ করা যায়। অর্থাৎ মানুষের নিজস্ব অনুভূতি বা অভিব্যক্তি অন্যের কাছে প্রকাশে ইমোজিই যথেষ্ট।
সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিমরা ধর্মীয় চিহ্ন যেমন- কাবা শরিফ, তাসবিহ, মিনার-মসজিদ ইত্যাদি ধর্মীয় ছবি ব্যবহার করে। মুসলিমদের এ ইমোজিগুলো ব্যবহারের ধারণা থেকেই জার্মানিতে বসবাসকারী রাওফ আল হুমেদি হিজাব ইমোজি তৈরির উদ্যোগ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন। খবর ইলম ফিড ডটকম।
১৫ বছর বয়সী সৌদি আরবের এই কিশোরী ‘হিজাব ইমোজি’ তৈরির প্রস্তাব এনেছেন। প্রস্তাবকারী কিশোরী রাওফ আল হুমেদি জার্মানিতে বসবাস করেন। তিনি তার প্রস্তাবটি ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে পাঠিয়েছেন।
প্রকাশ থাকে যে, ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম একটি অলাভজনক কর্পোরেশন; সাধারণত যারা নতুন নতুন ইমোজি তৈরির অনুমোদন দেয়।
প্রস্তাবনায় রাওফ ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামকে জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন মুসলিম নারী হিজাব পরে থাকেন। কিন্তু এ বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য কি-বোর্ডে কোনো একক স্পেস নেই।
স্কুলছাত্রী রাওফের এ প্রস্তাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন অনলাইন কথোপকথন ফোরাম রেড্ডিট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এলেক্সিস অহানিয়া।
আশা করা যায়, ২০১৭ সাল নাগাদ এ হিজাব ইমোজি অ্যাপসটি সক্রিয় হবে। এমনটিই জানিয়েছেন ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম।
এমএমএস/পিআর