হাত ও জিহ্বা প্রসঙ্গে বিশ্বনবির উপদেশ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিটি হাদিস মেনে চলা মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কারণ তিনি সমগ্র মানবতার কল্যাণে তথা উত্তম জীবন-পদ্ধতি শিক্ষাদানের জন্যই পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছেন।
বর্তমান সমাজের সবখানেই মানুষ পরস্পর আক্রমণমুখী। একে অপরকে কথা অথবা হস্তক্ষেপে কষ্ট প্রদান করে। যা শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায় এবং অকল্যাণকর। তিনি পরস্পরের মধ্যে সাম্য, শান্তি ও সম্প্রতি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন।
এক মুসলমান অপর মুসলমানকে কষ্ট দিতে নিষেধ করেছেন।এ জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে হাত ও মুখের হিফাজাতের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়অ সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, খাঁটি মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার হাত এবং মুখ হতে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে। (বুখারি ও মুসলিম)
উপরোক্ত হাদিসের প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক। ঘরে কি বাইরে সর্বত্র মানুষ অসংখ্য কলহ-বিবাদে জড়িত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসের আমলই মানুষের বাস্তব জীবনে নিয়ে আসতে পারে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি। দূর করতে পারে হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি, হানাহানি, বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজে তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রেই এক মুসলমান অপর মুসলমানের অধিকারের প্রতি যথাযথ দৃষ্টি রাখার প্রত্যেকের পারস্পরিক হক আদায় করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর