জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে বান্দাকে সতর্কতার হিকমত
আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে বিপদগ্রস্ত হওয়ার পূর্বেই এ সম্পর্কে যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন, তাতে রয়েছে বিশেষ হিকমাত তথা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইমাম রাজি রাহামতুল্লাহি আলাইহি এ হিকমাতগুলো উল্লেখ করেছেন। যা এখানে তুলে ধরা হলো-
>> বিপদ যত বড়ই হোক না কেন, মুসলমানগণ যেন বিপদে ধৈর্য ধারণের পূর্বেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। আর প্রস্তুতি থাকলে ধৈর্যধারণ সহজ হয়।
>> বিপদের সংবাদে অন্তরে ভয়ের সঞ্চার হয় আর তা অধিক সাওয়াব লাভের কারণ হয়।
>> ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইসলাম বিদ্বেষীরা যখন দেখল যে, বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ চরম বিপদের সময় জীবন ও সম্পদের বিনিময়েও ইসলামের ওপর অবিচল রয়েছেন, তখন ইসলাম সম্পর্কে ইসলাম বিদ্বেষীদের এ মর্মে চিন্তা করার সুযোগ হলো যে, এত কঠিন বিপদ সত্ত্বেও যখন মুসলমানগণ দ্বীন-ইসলামকে আঁকড়ে ধরেছেন, এতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, ইসলাম সত্য ধর্ম।
>> বিপদ আসার পূর্বে কুরআনের সতর্ক সংবাদ অবশ্যই ভবিষ্যদ্বাণী; যা শুধু বিস্ময়করই নয়; বরং অলৌকিকও বটে।
>> ইসলামের অভু্যত্থানের সময় কিছু মুনাফিক অর্থ-সম্পদের (গণিমতের) লোভে মুসলমানদের সঙ্গে মিলে মিশে গিয়েছিল। যখন আল্লাহ তাআলা কুরআনে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে কঠিন পরীক্ষা হবে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে তখন সুবিধা ভোগের আশায় যারা ইসলামে প্রবেশ করেছিল তারা ইসলাম থেকে বিদায় গ্রহণ করেছিল। ফলে এতে সমূহ ক্ষতি থেকে ইসলামের নিরাপত্তা লাভ করে।
>> মানুষ যখন বিপদগ্রস্ত হয় তখনই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আল্লাহর দরবারে ইবাদাতে মশগুল হয়। এ আন্তরিকতা বা ইখলাছ আল্লাহর নৈকট্য লাভে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিপদগ্রস্ত হওয়ার পূর্বে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার তাওফিক দান করুন। কঠিন বিপদের মুহূর্তে ধৈর্যধারনের মাধ্যমে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সুনসিব দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস