মানুষের অত্যাচার থেকে নিরাপদ থাকার আমল
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, তোমরা যদি আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। এ কথায় প্রমাণিত হয় যে, জিকিরের গুরুত্ব ও ফজিলত অত্যাধিক। আল্লাহ তাআলা অনেক আয়াতেই তাঁর সুন্দর সুন্দর (গুণবাচক) নামের জিকিরের নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে (اَلْجَبَّارُ) ‘আল-ঝাব্বারু’ গুণবাচক নামের জিকিরের ফজিলত ও তাৎপর্য তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : ‘আল-ঝাব্বারু’
অর্থ : বিধ্বস্ত কর্মসমূহকে সঠিককারী, পরাক্রমশালী। আবার কেউ কেউ এ গুণবাচক নামের অর্থ করেছেন এভাবে, ‘বান্দাহকে সেই কাজ করতে বাধ্য করা, যার ইচ্ছা তিনি করেছেন’।
ফজিলত
>> যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার গুণবাচক মুবারক (اَلْجَبَّارُ) ‘আল-ঝাব্বারু’ নামটি প্রত্যেক দিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ২১৬ বার পড়বে, সে যাবতীয় যুলুম তথা অত্যাচারের হাত থেকে নিরাপদ থাকবে।
>> অন্যত্র এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْجَبَّارُ) ‘আল-ঝাব্বারু’ নামটি ২১ বার পাঠ করবে সে অত্যাচারীর অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাবে।
>> সব সময় গুণবাচক (اَلْجَبَّارُ) ‘আল-ঝাব্বারু’ নামটির জিকির করলে সে মানুষের মন্দ আচরণ থেকে নির্ভয় ও নিরাপদ থাকবে।
>> যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদশালী ও নেতা হতে চায়, সে আল্লাহ তাআলার এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْجَبَّارُ) ‘আল-ঝাব্বারু’ নামটি আংটির মধ্যে লিখে তা পরিধান করবে। এর ফলে মানুষের অন্তরে ঐ ব্যক্তির ভয় ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
সতর্কতা
আল্লাহর নাম তথা গুণবাচক নাম লিখে সঙ্গে রাখার ক্ষেত্রে এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, তা পরিধান করে টয়লেটে প্রবেশ করা নিষেধ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নামের জিকির করার তাওফিক দান করুন। (اَلْجَبَّارُ) ‘আল-ঝাব্বারু’ গুণবাচক নামটির জিকির করে উল্লেখিত ফায়েদাগুলো লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস