তালবিয়া পাঠের নিয়ম ও ফজিলত
হজ ও ওমরার সফরে মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে নিয়ত করার পর চার নিঃশ্বাসে তিনবার তালবিয়া পাঠ করা সুন্নাত। অতপর বাইতুল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ বা ওমরা পালনে রওয়ানা হওয়া। বাইতুল্লায় পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত হাজিগণ তালবিয়া পাঠ করতে থাকবেন। কারণ তালবিয়া পাঠে অনেক ফজিলত রয়েছে। তালবিয়া পাঠের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
হজরত সাহল ইবনে সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান ব্যক্তি তালবিয়া পাঠ করলে তার ডান দিক ও বাম দিকের পাথর ও বৃক্ষ তার সাথে তালবিয়া পাঠ করতে থাকে; যা পৃথিবীর এদিক ওদিক পর্যন্ত (প্রান্ত সীমায়) গিয়ে শেষ হয়। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
বাংলায় উচ্চারণ ও অর্থসহ তালবিয়া-
i) لَبَّيْكَ ا للّهُمَّ لَبَّيْكَ
ii) لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ
iii) اِنَّ الْحَمدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ
iv) لاَ شَرِيْكَ لَكَ
তালবিয়ার উচ্চারণ-
১. লাব্বাইক আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক,
২. লাব্বাইক, লা-শারি-কা লাকা লাব্বাইক,
৩. ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি`মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক,
৪. লা শারি-কা লাক।"
তালবিয়ার অর্থ-
১. আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত!
২. আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই।
৩. নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার।
৪. আপনার কোন অংশীদার নেই।
তালিবায়া পড়ার নিয়ম-
>> ইহরামকারীর পক্ষে বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করা সুন্নাত। পুরুষ ও মহিলা স্বশব্দে তা পাঠ করবে যতক্ষণ না ফিতনার আশংকা দেখা দেয়, কখনও তালবিয়া পাঠ করবে, কখনও ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর জিকির করবে, আবার কখনও তাকবির পড়বে।
>> বাইতুল্লাহ তাওয়াফ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ওমরার তালবিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আর হজের তালবিয়া মিনায় শেষ কংকর বা পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে বন্ধ হবে।
আল্লাহ তাআলা হজে গমনকারী মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়মে তালবিয়া পাঠ করে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস