ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

হারাম শরিফের বৈশিষ্ট্য ও সীমানা

প্রকাশিত: ০৬:২৭ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৬

মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর নির্দেশে হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ শরিফে উপস্থিত হয়। বাইতুল্লাহ মসজিদে হারামের অন্তর্গত। মসজিদে হারামের সীমানা এবং বৈশিষ্ট্যগুলো হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য জানা থাকা আবশ্যক। কারণ হারামের সীমানায় কোনো প্রকার গর্হিত ও অন্যায় কাজ করা নিষেধ। তাই হারাম শরিফের সীমানা ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো-

হারাম শরিফের বৈশিষ্ট্য
পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত হারামে নামাজ আদায় করলে অনেক বেশি সওয়াব লাভ হয়। অনুরূপভাবে সেখানে পাপ করলেও গোনাহ বেশি হয়। সুতরাং পাপের কাজ ত্যাগ করে ইবাদাত বন্দেগিতে মশগুল হওয়া উচিত।

হারাম শরিফে মুশরিকদের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেখানে হত্যা, মারামারি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দ্বন্দ্ব-কলহ করাও হারাম। এমনকি হারামের অভ্যন্তরে কাটাযুক্ত গাছ ও ঘাস কাটাও হারাম। বিধায় এ সকল কাজগুলো থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

ঘোষণা ও খোঁজ-খবর নেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া হারাম শরিফে পড়ে থাকা কোনো জিনিস ধরা-ছোঁয়াও হারাম। এভাবে হারামের সীমানায় কোনো পশু-পাখি, জীব-জন্তু বা শিকারকে হত্যা করা বা ভাগানোও হারাম।

হারামের সম্মানে আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন- ‘ নিঃসন্দেহে সর্ব প্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে মক্কায় নির্মাণ করা হয়েছে। ইহা বিশ্ব জাহানের জন্য হিদায়েত ও বরকতময়। এতে রয়েছে ‘মাকামে ইবরাহিম’-এর মতো প্রকৃষ্ট নির্দিশন। আর যে লোক এর ভিতরে প্রবেশ করেছে সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর যে সকল মানুষ আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম, আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ করা তাদের প্রতি ফরজ। যদি কেউ অস্বীকার করে তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ সমগ্র বিশ্ববাসী থেকে প্রয়োজনমুক্ত। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৬-৯৭)

হারাম শরিফের সীমানা
হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য মক্কার হারাম শরিফের সীমানার বাইরে থেকে ইহরাম বেঁধে হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে মসজিদে হারামে প্রবেশ করা। হারাম শরিফের সীমানা তুলে ধরা হলো-

পশ্চিম দিকে
শুমাইসী (হুদায়বিয়া) যা মসজিদে হারাম থেকে জেদ্দার রাস্তায় ২২ কি: মি: দূরে অবস্থিত।

পূর্ব দিকে
তায়েফের রাস্তায় ‘উরানা উপত্যকার পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত। যা মসজিদে হারাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব। জে’রানার দিক থেকে মোজাহিদিনের পথ হয়ে মসজিদে হারাম থেকে প্রায় ১৬ কিলো মিটার দূরত্ব।

উত্তর দিকে
‘তানঈম’ পর্যন্ত; যা মসজিদে হারাম থেকে প্রায় ৭ কিলো মিটার দূরত্ব।

দক্ষিণ দিকে
‘আযাতু লীন’ ইয়ামেনের রাস্তা। যা মসজিদে হারাম থেকে প্রায় ১২ কিলো মিটার দূরত্ব।

হজ ও ওমরা পালনকারীদেরকে মসজিদে হারামের বৈশষ্ট্যগুলো প্রতি লক্ষ্য রেখে যথাযথ দায়িত্ব পালন এবং ইহরাম বাঁধার ক্ষেত্রে এর সীমানার প্রতি লক্ষ্য রাখা একান্ত জরুরি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন