জোহর ও আসরের নামাজে বিশ্বনবির ক্বিরাআত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে সুরা ফাতিহার পর সুনির্দিষ্ট সুরা থেকে কম-বেশি আয়াত বা সম্পূর্ণ সুরা তিলাওয়াত করতেন। যারা সুন্নাতের একান্ত অনুসরণ ও অনুকরণ করতে আগ্রহী, তাদের এ ক্বিরাআত বা সুরা সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি। যা তুলে ধরা হলো-
জোহরের নামাজের ক্বিরাআত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে সুরা ফাতিহার পর কখনও লম্বা কিরাআত পাঠ করতেন। হজরত আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, জোহরের নামাজে ক্বিরাআত এত দীর্ঘ করতেন যে, ইক্বামাত শুনে কেউ ইচ্ছা করলে বাকি নামক স্থানে গিয়ে প্রয়োজন সমাধা করে বাড়িতে ফিরে এসে ওজু করে মসজিদে গিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রথম রাকআতেই পেয়ে যেত। (মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জোহরের নামাজে কখনও সুরা আলিফ-লাম-মিম সাজদাহ তিলাওয়াত করতেন। আবার কখনও সুরা আলা, কখনও সুরা লাইল এবং কখনও সুরা বুরূজ তিলাওয়াত করতেন।
আসরের নামাজের ক্বিরাআত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসরের নামাজের ক্বিরাআত জোহরের নামাজের কিরআতের অর্ধেক পরিমাণ লম্বা করতেন। আবার আসরের লম্বা ক্বিরাআত জোহরের সংক্ষিপ্ত ক্বিরাআতের সমান ছিল।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইবাদাত-বন্দেগিতে সুন্নাতে নববির ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। সমাজের সর্বস্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহিহ সুন্নাতের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি